হাজিপুরে নামোপাতা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। —নিজস্ব চিত্র।
উপভোক্তাদের জন্য বরাদ্দ খাবারের হিসাব নিয়ে বিশৃঙ্খলা হল গোঘাট-২ ব্লকের হাজিপুর নামোপোতা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। সোমবার সকালের এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী লক্ষ্মী রায় ফৌজদারকে আটকে রেখে হেনস্থার অভিযোগ উঠল কয়েক জন গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে। এই গোলমালের জেরে কয়েকজন উপভোক্তা খাবার পায়নি বলে অভিযোগ।
লক্ষ্মীর অভিযোগ, ‘‘গ্রামবাসী মজিদ আলি শাহ, নরুল ইসলাম খান খবরদারি করছিলেন। সেটা আমরা না মানাতেই মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাকে হেনস্থা করা হয়। অফিসে তালা মারার চেষ্টাও হয়।’’ কোনওমতে অফিস থেকে বের হতে পারলেও তাঁর সাইকেলে চাবি মেরে দেওয়া হয়। ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ। পরে গ্রামবাসীদেরই একাংশের সাহায্যে তিনি রেহাই পান। বিষয়টি নিয়ে এ দিন দুপুরে সিডিপিওকে লিখিত জানিয়ে নিরাপত্তার দাবি জানান ওই কর্মী।
মজিদ আলি শাহের অবশ্য দাবি, ‘‘ধাক্কাধাক্কির আভিযোগ মিথ্যা। কেন্দ্রের সামনে ৩০ জন উপভোক্তা খাবার নেওয়ার জায়গা রাখা ছিল। অথচ ডিম সিদ্ধ হচ্ছিল ৫০টি। সেটা কেন হচ্ছে, জবাব মেলেনি। হিসেব না দিলে ছাড়া হবে না বলা হয়েছিল।’’ একই দাবি নরুল ইসলাম খানেরও।
কেন্দ্রটি যথাযথ পরিচালনার জন্য মজিদ আলি শা, নুরুল ইসলাম খান চার জন মেয়ের কমিটি করে দেন পুজোর ছুটির আগের দিন। তাঁরা শর্ত রাখেন, ছুটির পর কেন্দ্র খুললে ওই চার জনের উপস্থিতিতেই রান্নার আয়োজন করতে হবে এবং খাবার পরিবেশন করতে হবে। এ দিন কমিটির চার জনের অনুপস্থিতিতে রান্না করা এবং খাবার দেওয়া শুরু হতেই গোলমাল বাধে। মজিদরা কমিটি তৈরি এবং শর্তাদির কথা মেনে নিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘‘বহুদিন ধরে এখানে খারাপ মানের খাবার দেওয়া হচ্ছিল। তার মান ফেরাতেই এই ব্যবস্থা।’’
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের দাবি, কমিটি নিয়ে আপত্তি নেই। আপত্তি খবরদারি নিয়ে। সিডিপিও মহাদেব মণ্ডল বলেন, ‘‘ভুল বোঝাবুঝিতে কিছু সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলছি। কর্মী ও সহায়িকারা যথারীতি কেন্দ্রে গিয়ে তাঁদের দৈনন্দিন কাজ করবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy