নিগৃহীত ওয়ার্ড মাস্টার।
চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালের পর এ বার চন্দননগর মহকুমা হাসপাতাল। ফের দেরি করে ভর্তির সিদ্ধান্তে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠল সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
দু’দিনে তিন বার ভর্তি না নিয়ে ইমামবাড়া হাসপাতাল থেকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল এক প্রৌঢ়াকে। বুধবার দুপুরে চতুর্থ বার ভর্তি নেওয়ার সিদ্ধান্ত যখন নেওয়া হয়, রোগিণীর দেহে তখন প্রাণ ছিল না। বৃহস্পতিবার শ্বাসকষ্টে ভোগা এক বৃদ্ধকেও চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে দেরি করে ভর্তি নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিছুক্ষণের মধ্যে কাশীনাথ মল্লিক (৬৫) নামে ওই বৃদ্ধ মারা যান। তারপরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মৃতের পরিবার অভিযোগ তোলেন, প্রথমে ভর্তি নেওয়া হয়নি। হাসপাতালের লিফটে ওঠা নিয়ে গোলমালের জেরে এক ওয়ার্ড-মাস্টারকে বেধড়ক মারধরের পাল্টা অভিযোগ উঠেছে মৃতের পরিজনদের বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানায়, মারধরের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। ভর্তিতে দেরির অভিযোগ নিয়ে হাসপাতালের সুপার অভিরূপ সিংহ কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি কিছু বলব না। যা বলার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলবেন।’’ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইয়া বলেন, ‘‘রোগীকে প্রথমে ভর্তি করতে না-চাওয়ার অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ নেব। তবে ওয়ার্ড-মাস্টারকে মারধরের অভিযোগটিও গুরুতর। বিষয়টি পুলিশকে জানাতে বলেছি।’’
মৃত কাশীনাথ চুঁচুড়ার উত্তর সিমলাপোল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকায় এ দিন তাঁকে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃতের ছেলে সুমনের অভিযোগ, ‘‘হাসপাতালে ডাক্তারবাবু বাবাকে দেখে একটা পরীক্ষার জন্য বলেন। সেই পরীক্ষার পর বাবাকে নিয়ে ফের হাসপাতালে আসি। কিন্তু ওঁকে প্রথমে ভর্তি করতে চাননি। আমাদের বলা হয় বেড নেই। হাসপাতালে বহু ডেঙ্গি রোগী আছেন। পরে বাবার শ্বাসকষ্ট বাড়ায় ভর্তি নেওয়া হয়। খানিকক্ষণ পরেই বাবা মারা যান।’’
এর মধ্যেই হাসপাতালের মধুসূদন দে নামে এক ওয়ার্ড-মাস্টারকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে কাশীনাথের পরিজনদের বিরুদ্ধে। মধুসূদন বলেন, ‘‘হাসপাতালের লিফট রোগীদের জন্য। ওঁরা বেশ কয়েকজন লিফটে উঠতে গেলে আমি আপত্তি করি। তখন ওঁরা আমাকে হাসপাতালের ডাস্টবিনের কাছে ফেলে বেধড়ক মারধর করে। আমার মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয়। ডান চোখে এমন মেরেছে যে ঝাপসা দেখছি। পুলিশকে জানিয়েছি।’’
বেধড়ক মারধরের অভিযোগ মানেননি মৃতের ছেলে। তাঁর দাবি, ‘‘আমাদের এক আত্মীয় প্রতিবন্ধী। তিনি লিফটে উঠতে গেলে বাধা দেন ওই ওয়ার্ড-মাস্টার। গালিগালাজ করেন। তখন ওঁরা ওঁকে শুধু চড়-থাপ্পড় মারেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy