হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
জীবিত থাকা সত্ত্বেও একটি শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করার অভিযোগ উঠল হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, শুধু মৃত ঘোষণা করাই নয়, মৃত্যুর শংসাপত্রও তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন, শিশুটি মারা গিয়েছিল বলেই শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। তবে পরিবার তাদের এই দাবি মানতে চায়নি। হাসপাতালের বিরুদ্ধে পাল্টা চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
শিশুটির কাকিমা মুক্তা সাহা বলেন, “দুপুর একটা নাগাদ শ্বাসকষ্টজনিত অসুখে কাহিল হয়ে পড়ে শিবাংশী। বেলুড়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।” মুক্তার অভিযোগ, ওই হাসপাতালে ঠিক মতো চিকিৎসা করা হয়নি শিবাংশীর। এর পর পরিবারের লোকজন শিশুটিকে বালিতে একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখান থেকে জানানো হয় শিশুটি বেঁচে নেই। ফের তাঁরা ওই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। শিশুটির মৃত্যুর জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন পরিবারের সদস্যরা। এ নিয়ে বচসাও হয়। পুলিশ এসে বিষয়টি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। এর পরই হাসপাতাল থেকে শিশুর মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া হয়।
ওই শিশুর আর এক আত্মীয়ের দাবি, মৃত ঘোষণা করার পর শিবাংশী সাহা নামে ওই শিশুকন্যাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তাঁর আরও দাবি, বাড়িতে নিয়ে আসার পর পরিবারের সদস্যদের মনে হয়েছিল শিশুটি জীবিত রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের লোকেরা জানান, স্থানীয় চিকিৎসক ভাল ভাবে পরীক্ষা করার পর জানান শিবাংশী বেঁচে রয়েছে। দ্রুত তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। কিন্তু সেখানেও সন্ধ্যা নাগাদ জানিয়ে দেওয়া হয় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
গোটা ঘটনায় শিশুর পরিবারের লোকজন ওই বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তবে হাসপাতাল সূত্রে পাল্টা দাবি করা হয়েছে, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। শিশুটি মারা গিয়েছিল বলেই মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy