—প্রতীকী চিত্র।
হাওড়া স্টেশন থেকে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর চার সদস্যকে গ্রেফতার করা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়ল পুলিশ-প্রশাসন। পুলিশি অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ওই ছাত্রেরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। সোমবার সেই মামলায় সরকারি কৌঁসুলির উদ্দেশে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের প্রশ্ন, ‘‘শুধু সন্দেহের বশে সমাজের যে কোনও মানুষকেই গ্রেফতার করা যায়?’’ তাঁর নির্দেশ, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই গ্রেফতারির ঘটনা এবং তদন্ত সংক্রান্ত রিপোর্ট পুলিশকে কোর্টে জমা দিতে হবে। আজ, মঙ্গলবার মামলার ফের শুনানি। এ দিন অবশ্য সরকারি কৌঁসুলি রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য বাড়তি সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেনি।
২৬ অগস্ট মধ্যরাতে হাওড়া স্টেশন থেকে ওই সংগঠনের চার সদস্য শুভজিৎ ঘোষ, গৌতম সেনাপতি, প্রীতম সরকার ও পুলকেশ পণ্ডিতকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে আবার ছেড়ে দেওয়া হয় বলে খবর। এ দিন মামলাকারীদের আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার আদালতে জানান যে যথাযথ মামলা দায়ের না করেই অবৈধ ভাবে গ্রেফতার করা হয় ওই চার জনকে। গ্রেফতারের কোনও নথিপত্র দেওয়া হয়নি তাঁদের পরিবারকে। বরং পুলিশের তরফ থেকে সমাজমাধ্যমে জানানো হয়, এই চার জনকে হিংসা ছড়ানো, অপ্রীতিকর ঘটনা ও খুনের পরিকল্পনা করার সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ দিন সরকারি কৌঁসুলি আদালতে দাবি করেন যে, গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ হাওড়া স্টেশন থেকে ওই চার জনকে ‘আটক’ করেছিল। তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ না পেয়ে ছেড়েও দেওয়া হয়।
উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি ভরদ্বাজ প্রশ্ন করেছেন, ‘‘খুন করার পরিকল্পনার মতো
গুরুতর অভিযোগে গ্রেফতার করা হলে সেই দিনই ছেড়ে দেওয়া হল কী ভাবে? পর্যাপ্ত তদন্ত না করেই ছেড়ে দেওয়া হল কেন? তা হলে গ্রেফতার করা হল কেন? গোপন সূত্রের খবর যাচাই না করেই গ্রেফতার করা হয়েছিল কেন?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy