—প্রতীকী চিত্র।
হাওড়ায় রামনবমীর মিছিলের অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এই নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, কাল, বুধবার দুপুর তিনটে থেকে সন্ধ্যা ছ’টার মধ্যে শিবপুর আইআইইএসটি-র ১ নম্বর গেট থেকে রামকৃষ্ণপুর ঘাট পর্যন্ত মিছিল হবে। পুলিশ একা সামলাতে না পারলে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিতে হবে। মিছিলে কোনও বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য করা যাবে না, বহন করা যাবে না অস্ত্র। উচ্চ শব্দমাত্রার বক্স বাজানো যাবে না। শোভাযাত্রায় ২০০ জনের বেশি লোক থাকলে উদ্যোক্তা সংগঠনের তরফে মিছিল নিয়ন্ত্রণকারী পাঁচ জন কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন। এর পাশাপাশি, দু’দিনে ভেঙে রামনবমীর মিছিল করার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
এ দিন মিছিল নিয়ে রাজ্যের কৌঁসুলি আপত্তি করেছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘এত কম সংখ্যক মানুষকে সামাল দেওয়ার মতো বাহিনী রাজ্যের কাছে নেই। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভিড় সামাল দিতে হবে। প্রত্যেক নাগরিকের নিজের মতো করে ধর্মীয় অনুষ্ঠান করার অধিকার আছে। তাঁদের সেই কাজে বাধা দেওয়া যায় না।’’
হাওড়ায় রামনবমীর মিছিলের অনুমতি না পেয়ে হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের হাওড়া জেলা সভাপতি ইন্দ্রদেও দুবে। এ দিন রাজ্যের কৌঁসুলি বলেন, ‘‘গত বছর রামনবমীতে হাওড়ায় গোলমাল হয়েছিল। তা নিয়ে তদন্ত করছে এনআইএ। ১১ জনকে গ্রেফতারও করেছে তারা। তাই এ বার মিছিলের পথ বদলানো দরকার।’’ এর পরেই মামলাকারীর আইনজীবীদের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, ‘‘অতীতের ঘটনার কথা মাথায় রেখে আপনারা পথ বদল করে শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল করতে পারেন।’’ মামলাকারীর আইনজীবী সুবীর সান্যাল, অনিন্দ্যসুন্দর দাস পাল্টা প্রশ্ন করেন, গত বছরের গোলমাল কারা ঘটিয়েছিল? এনআইএ রিপোর্টে অভিযুক্তদের সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ আছে বলেও দাবি করেন তাঁরা।
এ দিন আদালতের নির্দেশের পরে মামলাকারী ইন্দ্রদেও দুবের দাবি, ‘‘যদি ভিড় বেশি হয়, তা সামলানোর দায়িত্ব পুলিশেরই।’’ মিছিলের অন্যতম উদ্যোক্তা অঞ্জনি পুত্র সেনার সম্পাদক সুরেন্দ্র বর্মা বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ মেনে আমরা ২১ এপ্রিল আর একটি মিছিল করব। মিছিলে ২০০ জন লোক থাকবেন। প্রত্যেকে পরিচয়পত্র নিয়ে যোগ দেবেন।’’ তাঁর দাবি, রামনবমীর শোভাযাত্রায় পর পর দু’বছর যাঁরা গোলমাল করেছিলেন, তাঁরা জেল হেফাজতে আছেন। তাই গোলমালের আশঙ্কা নেই। হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘পুলিশের পাহারার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও থাকবেন। আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি নিয়ে শীঘ্রই বৈঠক হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy