রামমোহনের মূর্তিতে মালা পরাচ্ছেন শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য।
অবশেষে ‘হেরিটেজ সাইট’-এর স্বীকৃতি পেল খানাকুলে রাজা রামমোহন রায়ের জন্মস্থান এং পাশের গ্রামে তাঁর বাড়িটি। রবিবার তাঁর জন্মের ২৫০ তম বর্ষপূর্তিতে রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য এসে এ সংক্রান্ত ফলক উন্মোচন করেন।
কমিশন থেকে যে দু’টি ঐতিহ্যের স্বীকৃতি মিলল তার একটি রামমোহনের জন্মভিটে রাধানগর গ্রামের ‘রামমোহন মেমোরিয়াল হল’। যেটি ১৯১৬ সালে নির্মাণ হয়। নকশা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। অন্যটি, এক কিমি দূরে রঘুনাথপুরের বাড়িটির।
এ দিন ফলকের আবরণ উন্মোচন করে শুভাপ্রসন্ন বলেন, “দেরি হলেও আজকে যে স্মারক রাখতে পেরেছি, তাতে আমরা গর্বিত। এগুলির রক্ষণাবেক্ষণে বাজেট বা পদ্ধতিগত ভাবে সংরক্ষণের চেষ্টা করা হবে। পাঠাগার-সহ নানা উন্নয়নের চেষ্টাও হবে। নবজাগরণের প্রথম মানুষটি জন্মদিন যাতে সরকারি ক্যালেন্ডারে গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়, তা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে ভাবাব।’’
অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন হুগলির জেলাশাসক দীপাপ্রিয়া পি, জেলা সভাধিপতি মেহবুব রহমান, সাংসদ অপরূপা পোদ্দার প্রমুখ। এ ছাড়াও জেলার নানা প্রান্তে এ দিন রামমোহনকে স্মরণ করা হয়। ‘রাজা রামমোহন রায় সার্ধ-দ্বিশতজন্মবার্ষিকী পালন কমিটি’র উদ্যোগে খানাকুলে তাঁর জন্মস্থানে সুসজ্জিত পদযাত্রা হয়। তাঁর মূর্তিতে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদর্শন করা হয়। বিনামূল্যে চিকিৎসা শিবির হয়।
চুঁচুড়ায় স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ‘রাজা রামমোহন রায় স্মৃতিরক্ষা কমিটি’। শহরের হাসপাতাল রোডে রামমোহনের মূর্তিতে মাল্যদান করা হয়। রামমোহনের জীবনের উপরে আলোচনা করেন পুরপ্রধান অমিত রায়, প্রাক্তন কাউন্সিলর জগন্নাথ ঘোষ, বিভূতি দাস, চিকিৎসক এম দাস ঘোষ। সাংবাদিকতা নিয়ে কর্মশালা হয় বলাগড় বিজয়কৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ে। কলেজের জাতীয় সেবা প্রকল্পের (ইউনিট-২) উদ্যোগে ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন কলেজের সভাপতি তথা সাহিত্যিক-বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী এবং অধ্যক্ষ প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতীয় সেবা প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রামমোহন রায় সহমরণ প্রথার বিরুদ্ধে কলম ধরার জন্য সংবাদপত্র বের করেন। সাংবাদিকদের উপরে প্রেস আইনের বিপক্ষে কলম ধরেন। সেই অর্থে সাংবাদিকতাকে রামমোহন প্রতিবাদের উপায় বলে মনে করতেন।’’
জিরাট কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়েও বিশেষ দিনটি পালিত হয়। সতীদাহ প্রথায় নিজের বৌদির নির্মম পরিণতি দেখে রামমোহন নিজেদের যে পরিবারিক শ্মশানে সতীদাহ বিলোপের সংকল্প করেন, সেখানে মাল্যদান ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে সিপিআই (এমএল) লিবারেশনের ছাত্র সংগঠন আইসা-সহ বিভিন্ন গণ সংগঠন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy