Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
arrest

শ্লীলতাহানির অভিযোগ, বায়োলজির শিক্ষককে কান ধরে ওঠবোস করানো হল উত্তরপাড়ায়! পরে গ্রেফতার

ছাত্রীকে একা পেয়ে তাঁর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল হুগলির উত্তরপাড়ার এক গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। সোমবার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।

pocso

— প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
উত্তরপাড়া শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৪ ২০:৫৫
Share: Save:

ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক গৃহশিক্ষককে কান ধরে ওঠবোস করালেন নির্যাতিতার মা। সেই ভিডিয়ো দেখার পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার হুগলির উত্তরপাড়া থানা এলাকার ঘটনা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির উত্তরপাড়া থানার হিন্দমোটর এলাকার বাসিন্দা অভিযুক্ত। পেশায় গৃহশিক্ষক জীববিজ্ঞান (বায়োলজি) পড়াতেন। প্রতি দিন তাঁর বাড়িতে একশোর বেশি ছাত্রছাত্রী পড়তে আসে। যে ঘটনার প্রেক্ষিতে ওই গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সেটা দিন তিনেক আগেকার ঘটনা। ওই দিন বিকাল ৪টে নাগাদ বালি এলাকা থেকে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী পড়তে এসেছিল ওই শিক্ষকের কাছে। ছাত্রীর বাবার দাবি, তখন ওই গৃহশিক্ষকের ঘরে একাই ছিল তাঁর মেয়ে। সেই সুযোগে শ্লীলতাহানি করা হয় পড়ুয়ার। এমনই অভিযোগ। বাড়ি ফিরে মাকে সেই কথা জানায় ছাত্রী।

শনিবার নির্যাতিতা ছাত্রীর মা গৃহশিক্ষকের বাড়িতে যান। ওই সময়ে আরও কয়েক জন অভিভাবক ওই গৃহশিক্ষকের বাড়ির সামনে উপস্থিত ছিলেন। যে ঘরটিতে তিনি পড়াতেন, সেখানেই শিক্ষককে কানধরে ওঠবোস করতে বাধ্য করেন সকলে। কেউ এক জন তার ভিডিয়ো করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন। এখন ওই ভিডিয়োটি ভাইরাল। (আনন্দবাজার অনলাইন ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি)

পুলিশের তরফে জানা যাচ্ছে, উত্তরপাড়া থানার তরফে ভাইরাল ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করা হয়। তার পর নির্যাতিতার বাড়িতে যায় পুলিশ। সোমবার নির্যাতিতা ছাত্রীর মা গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। তার ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। মঙ্গলবার ধৃতকে শ্রীরামপুর আদালতে হাজির করানো হবে।

অন্য দিকে, অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক তাঁর গ্রেফতারি কিংবা অভিযোগের বিষয়ে কিছুই বলতে চাননি। তাঁর সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘‘যা বলার আদালতে আমার আইনজীবী বলবেন।’’

অন্য বিষয়গুলি:

arrest Private Teacher POCSO Case Uttarpara
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE