Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Land Encroachment

খাসজমিতে দখলদার বসানো নিয়েও কোন্দল শাসকদলে

রাজ্যের অন্যান্য এলাকার মতো দখল হয়ে যাওয়া খাসজমি চিহ্নিত করতে নেমেছে বাঁশবেড়িয়া পুরসভাও।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁশবেড়িয়া শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৪ ০৮:১৫
Share: Save:

রাজ্যের অন্যান্য এলাকার মতো দখল হয়ে যাওয়া খাসজমি চিহ্নিত করতে নেমেছে বাঁশবেড়িয়া পুরসভাও। কিন্তু সেই দখলদার বসানো নিয়েও এখানে তৃণমূলের অন্দরের চাপান-উতোরকে ঘিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও একবার বেআব্রু হল।

দলীয় পুরপ্রধান আদিত্য নিয়োগী তাঁদের এলাকায় কাজ করার সুযোগ দিচ্ছেন না, কিছুদিন আগেই এই অভিযোগ তোলেন তৃণমূলের কিছু পুরসদস্য (কাউন্সিলর)। এ নিয়ে ডামাডোলের মধ্যেই খাসজমি চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে পুরসভা। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের খাসজমি দখলের পিছনের কার হাত, এ নিয়েও শুরু হয়ে গিয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

গত সোমবার ওই ওয়ার্ডের দখল হয়ে যাওয়া খাসজমি চিহ্নিত করার কাজ চলে। পুরপ্রধানের দাবি, ‘‘সে দিন দখলদারদের একাংশ সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, আমি নাকি ওঁদের বসতে বলেছি! এটা মিথ্যা। এ জন্য পাঁচ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও জানিয়েছি। প্রাক্তন পুরপ্রধানের স্বামীই ওই দখলদারদের বসিয়েছিলেন। পুরসভার বর্তমান অস্থিরতায় তাঁর হাত রয়েছে। বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরের সঙ্গে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।’’

আদিত্যর অভিযোগ মানেননি প্রাক্তন পুরপ্রধান অরিজিতা শীল। তিনি ৪ নম্বর ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা। তাঁর দাবি, ‘‘বর্তমান পুরপ্রধান আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করছেন। ও তো নিয়মিত এলাকায় থাকেই না।’’ তবে, অরিজিতা মানছেন, তাঁর সময়েও (২০১৫ থেকে ’২১-এর মে’র প্রথম সপ্তাহ) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ওই জমিতে দখলদার ছিলেন। কে বা কারা তাঁদের বসিয়েছেন, তা নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। অরিজিতা বলেন, ‘‘আমি পুরপ্রধান থাকাকালীন ওখানে বসবাসকারীদের জন্য বিদ্যুতের ব্যবস্থা এবং রাস্তা করে দিয়েছি। কারণ, তাঁরা আদালতের ‘নোটারি’র মাধ্যমে পুরসভায় ‘অকুপায়েড ট্যাক্স’ (দখল করা জমিতে বসবাসের কর) জমা দিতেন। সাফাইকর্মীরা গিয়ে সাফাই করতেন। ওঁরা সরকারি সব সুযোগ-সুবিধাই পান। এরপরে রাজ্য সরকার যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে।’’ অরিজিতার স্বামী সত্যরঞ্জন শীলের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।তিনি ফোন ধরেননি। এসএমএস-এর উত্তর দেননি।

বাঁশবেড়িয়া পুরসভায় ২২ জন কাউন্সিলরের মধ্যে একজন সিপিএমের, বাকিরা তৃণমূলের। তাঁদের মধ্যে ১২ জন কাউন্সিলর কয়েক দিন ধরে পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন। তাঁদের দাবি, পুরপ্রধান তাঁদের ওয়ার্ডে কাজ করার সুযোগ দিচ্ছেন না। তাঁরা পুরভবনের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভও করেন। তাঁরা পুরপ্রধানের ডাকা কোনও বৈঠকে শামিল হবেন না বলেও জানিয়েছেন।

পুরপ্রধান বলেন, ‘‘সব বিষয়ে দল জানে। আমি সব রকম আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছি। তবে, এ ভাবে চললে দলের বদনাম হচ্ছে এবং নাগরিক পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটছে। ওয়ার্ডের সমস্যার কথা নিয়ে পুরসভায় চলে আসছেনসাধারণ নাগরিকরা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Land encroachment Bansberia Municipality bansberia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE