Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Robinson Street

Chinsurah: চন্দননগরে ফিরে এল রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া, বৃদ্ধা মায়ের দেহ আগলে রইলেন মেয়ে

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরে মা বা মেয়ে— দু’জনকেই দেখতে পাননি মানকুণ্ডু স্টেশন রোডে মৃতার আবাসনের অন্য ফ্ল্যাটের লোকজন।

মৃতার মেয়ে অসীমা সাহা।

মৃতার মেয়ে অসীমা সাহা। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চন্দননগর শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২১ ২২:৩০
Share: Save:

কলকাতার রবিনসন স্ট্রিট-কাণ্ডের ছায়া এ বার হুগলির চন্দননগরে। মানকুণ্ডু স্টেশন রোডের একটি আবাসনে মৃত্যুর পরও দীর্ঘক্ষণ মায়ের দেহ আগলে রাখলেন মেয়ে। মঙ্গলবার স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে দেহ নিয়ে যায় করল পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম নির্মলাবালা সাহা (৮৮)। মানকুণ্ডুর রাধা আবাসনে প্রায় বছর দশেক বছর ধরে মেয়ে অসীমা সাহাকে নিয়ে থাকতেন ওই বৃদ্ধা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরে মা বা মেয়ে— দু’জনকেই দেখতে পাননি আবাসনের অন্য ফ্ল্যাটের লোকজন। আবাসনের সম্পাদক বৃদ্ধার লাগোয়া ফ্ল্যাটের বাসিন্দা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বৃদ্ধা যে মারা গিয়েছেন, তা আমরা জানতেই পারিনি। বৃদ্ধার মেয়ের সঙ্গে আবাসনের কারও সদ্ভাব নেই। সে ভাবে কারও সঙ্গে মেলামেশাও করতেন না ওই মহিলা। তাই তাঁদের দেখতে না পেলেও আমাদের সন্দেহ হয়নি। ফ্ল্যাট থেকে কোনও দুর্গন্ধও পাওয়া যায়নি। আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে পাড়ার পার্টি অফিস থেকে বৃদ্ধার মৃত্যুর কথা জানা যায়। এর পরেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।’’

মঙ্গলবার খবর পেয়ে চন্দনগর থানার পুলিশ ওই আবাসনে গিয়ে বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করে। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে কবে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। যদিও দেহে পচন ধরা দেখে পুলিশের অনুমান অন্তত দিন দুয়েক আগে মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধার।

পুলিশের দাবি, বছর পঁয়ষট্টির অসীমা মানসিক বিকারগ্রস্ত। তাঁর কথাবার্তাও অসংলগ্ন। তাই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও বৃদ্ধার মৃত্যু সম্পর্কে সঠিক কিছু জানা যায়নি। কবে তিনি মারা গিয়েছেন, তা নিয়েও কিছু বলতে পারেনি অসীমা। উল্টে পুলিশের কাছে অসীমার দাবি, ‘‘সোমবারও আমার হাত থেকে চা আরও ওষুধ খেয়েছে মা।’’

এই ঘটনায় রবিনসন স্ট্রিটের ঘটনাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন এলাকার অনেকে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের জুন মাসে প্রায় একই ধরনের কাণ্ড দেখা গিয়েছিল মধ্য কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটে। দীর্ঘদিন ধরে বৃদ্ধ বাবা এবং বোনের দেহ আগলে বসেছিলেন পার্থ দে নামে এক ব্যক্তি।

অন্য বিষয়গুলি:

Death Chinsurah Robinson Street Mankundu
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy