Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Botanical Garden

Hibiscus: ২৫০ প্রজাতির জবা ফুটিয়ে নজির দীপের, বোটানিক্যাল গার্ডেনের পাঁচ কাঠা জমি বরাদ্দ গবেষণায়

সেখানেই জবার বিভিন্ন প্রজাতি নিয়ে নিরন্তর গবেষণা করে চলেছেন রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের বোটানির মাস্টার্সের দ্বিতীয় বর্ষের এই ছাত্র।

নিজের বাগানে দীপ চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র

নিজের বাগানে দীপ চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়
সিঙ্গুর শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২২ ০৬:৫২
Share: Save:

কোনও জবা ঘোর কালো, কোনওটা নীলাভ। আবার নীল রঙের জবার পাপড়ির উপরের অংশে লালের ছোঁয়াও নজর কাড়ে। ‘বেঙ্গল সানরাইজ’ নামের জবার ভিতরের অংশটা পুরোপুরি লাল। কিন্তু সেই ফুলের বাইরের দিকের অনেকটা জুড়ে রয়েছে আবার বেগুনির আভা।

ফুল ফোটানোর নেশা অনেকেরই থাকে। কিন্তু সেই নেশাকে গবেষণার স্তরে নিয়ে গিয়েছেন সিঙ্গুরের মহামায়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তনী দীপ চক্রবর্তী। তাঁর সিঙ্গুরের মধুবাটির বাড়ির ছাদ-বাগান গবেষণার সূতিকাঘর। সেখানেই জবার বিভিন্ন প্রজাতি নিয়ে নিরন্তর গবেষণা করে চলেছেন রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের বোটানির মাস্টার্সের দ্বিতীয় বর্ষের এই ছাত্র। ২১ বছরের তরুণের এই সাধনাকে সম্প্রতি স্বীকৃতি জানালেন শিবপুরের জগদীশচন্দ্র বসু বোটানিক্যাল গার্ডেন কর্তৃপক্ষ।

গার্ডেনের ডিরেক্টর দেবেন্দ্র সিংহ তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে এনে দীপের ছাদ-বাগান পরিদর্শন করেন। এরপরই দীপের গবেষণার জন্য বোটানিক্যাল গার্ডেনে পাঁচ কাঠার একটিনির্দিষ্ট জায়গা বরাদ্দ করা হয়। ওই বাগানে দীপের তৈরি ১০০টি ভিন্ন প্রজাতির জবা গাছ স্থান পেয়েছে। ডিরেক্টরের কথায়, ‘‘আগামী ৫ জুন, পরিবেশ দিবসে দীপের জবা ফুলের গবেষণার জন্য ওই নির্দিষ্ট বাগানের উদ্বোধন করা হবে। গবেষণার জন্য দীপকে সমস্ত রকম পরিকাঠামো দেওয়া হবে। আমরা চাই, দীপ তাঁর গবেষণাকে আরও বৃহত্তর ক্ষেত্রেনিয়ে যাক।’’

দীপের এই জবা ফুল সংক্রান্ত উদ্ভাবনকে ‘বিরল’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ‘ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস’। দীপের গবেষণাকে মানত্য দিয়েছে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ও। সেখানকার একটি পাঠ্যপুস্তকে ‘জবাফুল’ বিষয়ক অধ্যায়ের লেখক দীপ। শুধু দেশীয় নয়, দীপের জবা ফুল সংক্রান্ত গবেষণা আদায় করে নিয়েছে নানা আন্তজার্তিক স্বীকৃতিও। ‘ইন্টারন্যাশনাল হিবিসকাস সোসাইটি’, যারা বিশ্ব জুড়ে ‘হাইব্রিড’ জবাফুল তৈরিতে উৎসাহ দেয়, তারা ইতিমধ্যেই দীপের গবেষণলব্ধ ২২ রকমের জবাফুলকে তাদের সংগ্রহে অর্ন্তভুক্ত করেছে।

ছোটবেলা থেকেই ফুল ফোটানোর নেশা ছিল দীপের। তবে জবাফুলের প্রতি তাঁর আকর্ষণ ছিল একটু বেশিই। তাঁকে কাজে বরাবর উৎসাহ দিয়েছেন বাবা সুব্রত চক্রবর্তীও। দীপ বলেন, ‘‘আমার ছাদে অন্তত ২৫০ রকমের জবা ফুল আছে। যা থেকে আমি ৩০টি ভিন্ন প্রজাতির জবা তৈরি করেছি। ভালবাসা থেকেই এই কাজ করি। বিষয়টি নিয়ে আরও জানারইচ্ছা রয়েছে। আমার ভালবাসার জিনিস, এমন স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। আমি খুশি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Botanical Garden Singur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE