সপরিবারে অমিত মাজী। —নিজস্ব চিত্র।
চন্দ্রযান-৩ অভিযান নিয়ে গর্বের শেষ নেই ভারতের। তবে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের খিলা গ্রামেরও গর্ব কম নয়। কারণ, এই গ্রামের ছেলেও ওই অভিযানের এক কারিগর। চন্দ্রযান ৩-কে ইসরোর যে বিজ্ঞানীর দল পরিচালনা করছে, সেই দলের
অন্যতম সদস্য অমিত মাজী যে এই গ্রামেরই ছেলে।
বুধবার সারা দেশের মতোই চন্দ্রপৃষ্ঠে বিক্রমের অবতরণ নিয়ে উদ্বেগে ছিল এই গ্রামও। অমিত, খিলা গোপীমোহন শিক্ষা সদনের প্রাক্তন ছাত্র। ওই সন্ধ্যায় স্কুলের টিচার ইনচার্জ অনুপকুমার বেরা বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের জন্য টিভিতেই ওই অভিযান দেখানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। আর চন্দ্রপৃষ্ঠে বিক্রমের অবতরণের পরই শিক্ষক-পড়ুয়ারা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন।
বন্যা কবলিত ব্লক উদয়নারায়ণপুরের খিলা গ্রামেই অমিতের বড়ো হয়ে ওঠা। খিলা প্রাইমারি স্কুলে তাঁর হাতেখড়ি। ১৯৯০ সালে খিলা গোপীমোহন শিক্ষাসদনে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৯৬ সালে মাধ্যমিক ও ১৯৯৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে বেলুড় বিদ্যামন্দির থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক হন। পরে রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে বি-টেক করেন অমিত বাবু। তারপর ২০০৬ সালে ইসরোয় যোগ দেন।
অমিত বাবুর দুই দিদি আছে। বাবা নবীনচন্দ্র মাজী ২০০৯ সালে মারা যান। বর্তমানে অমিতবাবু
মা, স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে বেঙ্গালুরুতে থাকেন।
শিক্ষকরা জানান, ছোটো থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন অমিত। পড়াশোনার পাশে খেলাধূলাতেও পারদর্শী ছিলেন।
পড়শিরা জানান, বেঙ্গালুরুতে থাকলেও খিলা গ্রামের অনেকের সঙ্গেই তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গেও প্রায়ই ফোনে কথা হয় তাঁর। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুপকুমার বেরা বলেন, ‘‘অমিতকে বিজ্ঞান ক্লাসের ছাত্র হিসেবে পেয়েছিলাম। অমিত এই গ্রামকেই ইতিহাসের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে। অমিত আমাদের গৌরব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy