প্রতীকী চিত্র।
প্রতিষেধক দেওয়ার পরে সরকারি পোর্টালে নাম নথিভুক্ত না-করায় বহু মানুষকে শংসাপত্র দিতে না-পারার অভিযোগ আগেই উঠেছিল হাওড়ার রেড ক্রস সোসাইটির বিরুদ্ধে। এ বার ওই সংস্থার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বেরও অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, শাসকদলের তরফে যাঁদের কুপন দিয়ে পাঠানো হচ্ছে, তাঁদের প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা কুপন আনছেন না, তাঁদের বলা হচ্ছে, প্রতিষেধক নেই। শনিবার এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে গোলমাল বেধে যায় হাওড়া ময়দানে, রেড ক্রস সোসাইটির অফিসের সামনে। ছুটে আসে পুলিশ। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অবশ্য দাবি করেছে, প্রতিষেধক দেওয়ায় কোনও রকম পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত দেড় মাস ধরে এক হাজারেরও বেশি মানুষকে প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে রেড ক্রস সোসাইটির ওই অফিস থেকে। এ দিন সকালেও কয়েকশো মানুষ লাইন দেন প্রতিষেধক নিতে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ লাইন দিয়েও প্রতিষেধক না মেলায় লোকজন উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। পীযূষ বারুই নামে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদর বক্সী লেনের এক বাসিন্দার অভিযোগ, ওই সংস্থার এক কর্মী তাঁর কাছে জানতে চেয়েছেন, তিনি কোন দলের? কুপন আছে কি না।
ওই যুবকের অভিযোগ, তৃণমূল কার্যালয় থেকে যাঁদের কুপন দেওয়া হচ্ছে, তাঁরাই আগে প্রতিষেধক পাচ্ছেন। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করেই উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে। এরই মধ্যে বিজেপির জেলা সভাপতি সুরজিৎ সাহা ঘটনাস্থলে এসে অভিযোগ করেন, তাঁর স্ত্রী গত ৬ জুন ওই কেন্দ্র থেকে প্রতিষেধক নিলেও শংসাপত্র না পাওয়ায় এ দিন বিমানে উঠতে পারেননি। তাঁর অভিযোগ, “প্রতিষেধক দেওয়া হলেও ১৯০ জনকে শংসাপত্র দেওয়া হয়নি।’’
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন প্রাক্তন মেয়র পারিষদ শ্যামল মিত্র ও প্রাক্তন কাউন্সিলর শৈলেশ রাই। শ্যামলবাবু বলেন, “প্রতিষেধক নিয়ে কারও সমস্যা হয়ে থাকলে তিনি বিষয়টি রেড ক্রস সোসাইটির কমিটিকে চিঠি লিখে জানাতে পারেন। ওদের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।”
হাওড়ার রেড ক্রস সোসাইটির সম্পাদক, শিশুরোগ চিকিৎসক সুজয় চক্রবর্তী বলেন, “রেড ক্রস সোসাইটি পক্ষপাতিত্ব করে না। মিথ্যা অভিযোগ।” জেলা প্রশাসনের এক কর্তার আবার বক্তব্য, ‘‘ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এক কর্মীর বিরুদ্ধে প্রতিষেধক নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। খতিয়ে দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy