হিন্দমোটর কারখানার চত্বরে ভেড়ি। নিজস্ব চিত্র।
বন্ধ হিন্দমোটর কারখানা চত্বর ও তার পার্শ্ববর্তী জমিতে দীর্ঘদিন ধরেই ভেড়ির জন্য মাটি কাটার অভিযোগ উঠেছে। তবে কে বা কারা মাটি কাটছে তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই কারও। ইতিমধ্যে সেখানে বেআইনি ভাবে অন্তত ১০০টির কাছাকাছি ভেড়ি কাটা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাজনৈতিক মহলের অভিযোগ, হিন্দমোটরের পড়ে থাকা জমিতে শিল্পপতিদের আসার কথা। অথচ ওই চত্বরে দীর্ঘদিন ধরেই হিন্দমোটর এবং কোন্নগর এলাকায় জলাভূমির মাটি কেটে ভেড়ি গড়ে উঠছে। বিধি অনুয়ায়ী রাজ্যের কেউই খেয়ালখুশি মতো কোনও জমির মাটি কাটতে পারেন না। তার জন্য রাজ্য সরকারের অনুমতি নিয়ে মাটি কাটার লিজের(রয়্যালটির) জন্য নির্দিষ্ট টাকা জমা দিতে হয়। বিরোধীদের প্রশ্ন, শিল্প হলে সে ক্ষেত্রে কী আবার এইসব ভেড়ি বুজিয়ে কারখানা হবে? যদিও প্রশাসনের কাছে এর কোনও স্পষ্ট উত্তর মেলেনি।
দীর্ঘদিন ধরেই বাম, বিজেপি-সহ সমস্ত শ্রমিক সংগঠনই দাবি জানিয়ে আসছে বন্ধ হিন্দমোটর কারখানার জমিতে নতুন করে কোনও শিল্প হোক। এতে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে রাজ্যে। বামেরা এই নিয়ে জেলা ও রাজ্য স্তরে শ্রম দফতরে স্মারকলিপিও দিয়েছে। সদ্য শেষ হওয়া রাজ্য শিল্প সম্মেলনেও মুম্বইয়ের একটি বড় শিল্প সংস্থাকে নতুন শিল্পের জন্য হিন্দমোটর কারখানা চত্বরে ১০০ একর জমি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ ওই জমিতে নির্বিচারে মাটি কেটে ভেড়ি তৈরি হলেও প্রশাসন উদাসীন বলে অভিযোগ।
এই বিষয়ে হিন্দমোটর বিজেপি নেতা পঙ্কজ রায় বলেন, ‘‘আমরা দলীয় স্তরে দীর্ঘদিন ধরেই হিন্দমোটর শিল্পের জমিতে নতুন কোনও কারখানা তৈরির দাবি জানিয়ে আসছি। অথচ মাটি মাফিয়ারা ওই জমিতে একের পর এক ভেড়ি করে দিচ্ছে। ইতিমধ্যে ১০০টা ভেড়ি হয়ে গিয়েছে। এরপর তো শিল্প হলেও অভিযোগ তুলে বলা হবে, জলাভুমি বুজিয়ে শিল্প হচ্ছে। প্রশাসনকে বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করার দাবি জানাচ্ছি।’’
এই বিষয়ে কোন্নগর কানাইপুর পঞ্চায়েতের প্রধান আচ্ছালাল যাদব বলেন, ‘‘আমরা নিশ্চিত কোন্নগর এবং হিন্দমোটর চত্বরে যে মাটি কেটে ভেড়ি হচ্ছে, তার কোনও বৈধ অনুমতি নেই। আমরা বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনব।’’
এই বিষয়ে জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘হিন্দমোটরে জমি কেটে ভেড়ি তৈরির নির্দিষ্ট অভিযোগ কেউ জানায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
এখন বন্ধ হিন্দমোটর কারখানার জমিতে নতুন কোনও শিল্প হবে না কি ওই জমি মাটি মাফিয়াদের হাতে পড়ে নষ্ট হবে, তা সময়ই বলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy