বরাদ্দ চাকা পাচ্ছে না বহু অঙ্গনওয়াড়ি কোন্দ্র। — ফাইল চিত্র।
বরাদ্দ টাকা তিন মাস ধরে আসছে না হাওড়ার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে। ফলে, ডিম-আনাজ কিনতে নাজেহাল হচ্ছেন কেন্দ্রগুলির কর্মীরা। তাঁরা ধার করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
হাওড়ায় মোট ৪৫০৬টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র আছে। সব কেন্দ্রেই একই পরিস্থিতি বলে দাবি কর্মীদের। সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে বলে অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক মুক্তা আর্য।
শূন্য থেকে পাঁচ বছরের শিশুরা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি থেকে পুষ্টিকর খাবার পায়। তার সঙ্গে অন্তঃসত্ত্বারা এবং ছ’মাস বয়স পযর্ন্ত শিশুদের মায়েরাও কেন্দ্রগুলি থেকে পুষ্টিকর খাবার পেয়ে থাকেন।
জেলা নারী ও শিশুকল্যাণ দফতর সূত্রের খবর, অন্তঃসত্ত্বা ও মায়েদের সোম থেকে শনিবার পর্যন্ত রোজ একটি করে গোটা ডিমসিদ্ধ, আলুর তরকারি ও ভাত দেওয়া হয়। শিশুদের সোম, বুধ এবং শুক্রবার একটি করে গোটা ডিমসিদ্ধ এবং ভাত, আলুর ঝোল দেওয়া হয়। মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনিবার শিশুদের দেওয়া হয় আধখানা করে ডিমসিদ্ধ এবং সব্জি ও খিচুড়ি।
চাল, ডাল, রান্নার তেল, হলুদ সরকার জোগান দেয়। কিন্তু ডিম ও আনাজ কর্মীদের বাজার থেকে কিনে নিতে হয়। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ডিম আর আনাজের দাম মিলছে না বলে কর্মীদের অভিযোগ। তাঁরা জানান, প্রতি মাসের প্রথম এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁরা আগের মাসের খরচের বিল জমা করেন। কয়েক দিনের মধ্যেই টাকা চলে আসে। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাস থেকে টাকা আসছে না।
বাগনানের এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী জানান, তাঁর কেন্দ্রে মাসে ১০ হাজার টাকা খরচ হয় ডিম আর আনাজ কিনতে। সরকার মাসের পর মাস টাকা বাকি রাখায় খাবারের জোগান বজায় রাখতে তিনি হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘টাকা না দিলেও খাবার নিয়ম মতো দেওয়া হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য নিয়মিত নজরদারি চালায় সরকার। আমাদের অবস্থা শাঁখের করাতের মতো।’’
সমস্যা শুধু খাবারের টাকা না আসাতেই সীমাবদ্ধ নেই। অঙ্গনওয়াড়ির কর্মী ও সহায়িকারা জানিয়েছেন, তাঁদের এপ্রিল মাসের বেতনও হয়নি। এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বলেন, ‘‘প্রতি মাসের বেতন সেই মাসের শেষ দিনে এসে যায়। কিন্তু এপ্রিল মাসের বেতন এখনও মেলেনি। বেতন পেলে দোকানিদের বকেয়া কিছুটা মেটাতে পারতাম।’’
একই রকম সমস্যার কথা জানিয়েছেন আরও বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের কর্মীরা। সমস্যা কবে মেটে এখন সে দিকে তাঁরা তাকিয়ে রয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy