— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে নামতে শুরু করেছে জলস্তর। এর ফলে হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা সাধারণ মানুষের। জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কারিগরি সংক্রান্ত স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ জুলফিকার মোল্লা বলেন, ‘‘জলস্তর কমলেও যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। এখন পানীয় জলের কোনও সমস্যা আমাদের কাছে আসেনি। তেমন কিছু হলে যে সব জায়গায় পানীয় জল মিলবে না সেখানে জলের গাড়ি পাঠানো হবে।’’
হাওড়ার গ্রামীণ এলাকায় এখনও ভূগর্ভস্থ জলই ব্যবহার করা হয়। জল সরবরাহ করে জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগ। এই অবস্থায় ভূগর্ভস্থ জলের স্তর নেমে গেলে পানীয় জলের সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটবে। ইতিমধ্যে বাগনান সহ জেলার বহু এলাকায় জলস্তর নেমে যাওয়ায় পানীয় জলের সরবরাহ একেবারে বন্ধ না হলেও সর্বত্র সমান ভাবে জল যাচ্ছে না বলে অনেকের অভিযোগ। পাম্প হাউসের কাছের বাড়িগুলিতে জলের চাপ পর্যাপ্ত থাকলেও একটু দুরের বাড়িগুলিতে জল যাচ্ছে কম পরিমাণে।
বাগনান ১ পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য কারিগরি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সমীর সামন্ত বলেন, ‘‘প্রতি বছর বাগনানে জলস্তর নেমে যায়। এ বারও একই ঘটনা ঘটেছে। তাই আমরা দিনে তিন বারের বদলে রোজ টানা বারো ঘণ্টা ধরে পাম্প চালাচ্ছি যাতে সব এলাকায় পর্যাপ্ত জল পৌঁছয়।’’
একই সঙ্গে, যাঁরা বাড়িতে পাম্প বসিয়ে নলবাহিত জল অনেক পরিমাণে তুলে রেখে নিচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান সমীর। তিনি বলেন, ‘‘গরমের জন্যই যে শুধু জলস্তর নামে তা নয়। অনেকে পাম্প বসিয়ে জনস্বাস্থ্য দফতরের অতিরিক্ত জল তুলে মজুত করেন। এর ফলেও ভূগর্ভস্থ জলের স্তর নেমে যায়।’’ এই সমস্যা জেলা জুড়েই আছে বলে তাঁর দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy