চাষের জমি জলমগ্ন। সেখানে ছোট নৌকা নিয়ে যাতায়াত। খানাকুলের কাকনান বাবলাতলায়। নিজস্ব চিত্র।
সব নদনদীরই জল নেমেছে। আরামবাগ মহকুমার অন্যত্র পরিস্থিতির উন্নতি হলেও সবচেয়ে নিচু এলাকা খানাকুলের দু’টি ব্লকে জমা জল বুধবারেও নামেনি। বহু জায়গায় এখনও প্রায় দু’ফুট জল দাঁড়িয়ে। ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে দুর্গতদের একাংশের। পাশাপাশি ডিভিসি-র ছাড়া জলে প্লাবনের কারণে চাষে ক্ষতির অভিযোগ উঠছে। তবে, এখনও ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব করে উঠতে পারেনি প্রশাসন।
জেলার উপ-কৃষি অধিকর্তা(প্রশাসন) মৃত্যুঞ্জয় মুর্দ্রান্য বলেন, “জেলায় প্রায় ১ লক্ষ ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়। এর মধ্যে ১ লক্ষ ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে ধান রোপণের কাজ শেষ হয়েছিল। তার ৪০ শতাংশ প্লাবিত হয়। ক্ষয়ক্ষতি সরেজমিনে দেখা হচ্ছে।” আনাজ চাষের ক্ষেত্রেও ৫ হাজার ১৯৭ হেক্টর জমির মধ্যে ১ হাজার ৬২৯ হেক্টর প্লাবিত হওয়ায় ক্ষতির হিসাব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা উদ্যানপালন আধিকারিক শুভদীপ নাথ।
খানাকুলের দু’টি ব্লকের অধিকাংশ পুকুর ভেসে গিয়েছে। খানাকুল ২ ব্লকের ধান্যগোড়ি গ্রামের বিমল পাত্র, মাড়োখানার শেখ মোসারফ আলি প্রমুখ মাছচাষির খেদ, রুই, কাতলা-সহ সব মাছই ভেসে গিয়ে তাঁরা সর্বস্বান্ত হয়েছেন। জেলা মৎস্য সম্প্রসারণ দফতরের সহ-মৎস্য অধিকর্তা সুব্রত সরকার বলেন, ক্ষয়ক্ষতির হিসাব ব্লক স্তরে চলছে।
খানাকুলের দুটি ব্লকে যে সাতটি ত্রাণ কেন্দ্র ছিল, তা এ দিন গোটানো হয়েছে। ত্রাণ অমিল বলে বিক্ষিপ্ত অভিযোগ উঠছে। যেমন, রাজহাটি ১ পঞ্চায়েতের ছোট্টু রুইদাসের অভিযোগ, “মাটির বাড়ি ভেঙে গিয়ে রাস্তায় ছাউনি করে আছি। ত্রিপলটাও নিজেকে কিনতে হয়েছে।” এ দিন ত্রাণের দাবিতে বিজেপি পরিচালিত খানাকুল ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। মহকুমাশাসক সুভাষিণী ই জানান, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তেরা সবাই ত্রাণ পাচ্ছেন। নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলেও ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy