—প্রতীকী চিত্র।
সদ্য অসম লিঙ্ক রোড সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে বলাগড়ে। নতুন করে কিছু ‘হাম্প’ ও ‘স্পিড ব্রেকার’ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু গাড়িচালকদের সতর্ক করতে সেগুলির সামনে এখনও সাদা দাল (মার্কিং) দেওয়া হয়নি। অভিযোগ, তার ফলে গাড়ি চালকদের অনেকেই হাম্প ঠাহর করতে পারছেন না। আকছার দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনা এড়াতে ওই সব ‘হাম্প’ এবং ‘স্পিড ব্রেকার’-এর সামনে অবিলম্বে দাগ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন গাড়িচালকেরা।
জেলার পূর্ত (সড়ক) দফতরের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনেই সংস্কার করা হচ্ছে। শীঘ্রই ওই কাজ করা হবে। দফতরের এগ্জ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুজয় সরকার বলেন, ‘‘রাস্তা তৈরির ১০-১৫ দিন পরে সাদা মার্কিং করতে হয়। তার আগে করলে সাদা দাগ পিচের সঙ্গে মিশে কালো হয়ে যায়। দিন দশেকের মধ্যে মার্কিংয়ের এর কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।’’
বলাগড়ের সোমরার নাটাগড়ে ওই সড়কে সম্প্রতি দুর্ঘটনায় এক ট্রাকচালক মারা যান। দুর্ঘটনার পিছনে হাম্পের সামনে চিহ্ন না-থাকাকেই দুষছেন এলাকাবাসী। তাঁদের দাবি, ট্রাকটি দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল। হাম্পটির একেবারে সামনে এসে চালক সেটি খেয়াল করেই সজোরে ব্রেক কষেন। তার অভিঘাতে ট্রাকে থাকা লোহার পাত কেবিন ভেদ করে তাঁর কোমরে এসে লাগে। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হলেও বাঁচানো যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, হাম্পের সামনে মার্কিং থাকলে চালক অনেক আগেই তা বুঝতে পেরে গাড়ির গতি কমাতে পারতেন। দুর্ঘটনা ঘটত না।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় প্রতিদিনই এই কারণে ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগে থাকছে। বিশেষত, মোটরবাইকের জন্য বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। কুন্তীঘাট থেকে গুপ্তিপাড়া পর্যন্ত ১০টির বেশি ‘হাম্প’ রয়েছে। ডুমুরদহের ফুলপুকুর বাস স্ট্যান্ডের সামনে রয়েছে ‘স্পিড ব্রেকার’। কোনওটির সামনেই চিহ্ন দেওয়া হয়নি। এই পথে নিয়মিত যাতায়াত করেন, এমন এক ট্রাকচালক বলেন, ‘‘আমাদের সমস্যা কম। কোথায় হাম্প বা স্পিড ব্রেকার রয়েছে, আমাদের মুখস্থ। হাম্পের সামনে দাগ না থাকলে বাইরের গাড়িচালকদের জন্য বিপজ্জনক। রাতে সমস্যা বেশি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy