Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
flood

Hooghly: কাজ করবে বন্যা নিয়ন্ত্রণে, যন্ত্র তৈরি করে তাক লাগালেন হুগলির ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া

চন্দননগরের বাসিন্দা অয়নের দাবি, ১৫ কিলোমিটার অন্তর এই ‘ডিভাইস’ বসিয়ে রাখলে জলের উচ্চতা কতটা বাড়ছে বা কমছে তা বোঝা যাবে।

কী ভাবে তাঁর যন্ত্র কাজ করে বোঝাচ্ছেন অয়ন।

কী ভাবে তাঁর যন্ত্র কাজ করে বোঝাচ্ছেন অয়ন। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হুগলি শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২২ ১৭:১৩
Share: Save:

বন্যা নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে এমন যন্ত্র তৈরি করে তাক লাগালেন হুগলির ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়া অয়ন বাগ। জলের উচ্চতা মাপার কাজ করবে ওই যন্ত্র। অয়নের তৈরি ওই যন্ত্রের নাম ‘ফ্লাড মনিটরিং সিস্টেম’।

অতিবৃষ্টি হলেই মাইথন অথবা পাঞ্চেতের মতো জলাধার থেকে জল ছাড়তে বাধ্য হয় সংশ্লিষ্ট দফতর। ফলে অনেক সময় বন্যার সৃষ্টি হয়। ডিভিসি-র জলে নিম্ন দামোদর অঞ্চল বর্ধমান, হুগলি এবং হাওড়ার একাংশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া অয়নের তৈরি যন্ত্রটিকে রাখা যাবে বানভাসী নদীতেই। ওই যন্ত্রের সাহায্যে প্রশাসনের কর্তারা তাঁদের দফতর বা বাড়িতে বসেই জলস্তর মেপে নিতে পারবেন। এবং সেই অনুযায়ী করতে পারবেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।

ওই ডিভাইসের স্রষ্টা অয়ন জানান, তাঁর তৈরি যন্ত্র কাজ করবে আল্ট্রাসনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে। যন্ত্রটি পরিচালিত হবে একটি অ্যাপের সাহায্যে। পৃথিবীর যে কোনও প্রান্ত, যেখানে ইন্টারনেট আছে, সেখান থেকেই জানা যাবে, কোন নদীর জলস্তরের অবস্থা কী। নদীর জল বাড়লে হলুদ বা লাল সতর্কতা জারি হয় প্রশাসনের তরফে। সাবধান করা হয় নদী তীরবর্তী বসবাসকারী মানুষদের। প্রয়োজনে তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় অন্যত্র। এই ‘ডিভাইস’টি ওই কাজকেই ত্বরান্বিত করবে।

বর্ষার সময় কিউসেক মেপে নদী বাঁধগুলি থেকে জল ছাড়া হয়। এক সঙ্গে বেশি পরিমাণে জল ছাড়লে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। এই ‘ফ্লাড মনিটারিং সিস্টেম ডিভাইস’ দিয়ে নিয়ন্ত্রিত ভাবে জল ছাড়তে পারবেন বাঁধ কর্তৃপক্ষ। এমনটাই জানিয়েছেন অয়ন।

ইতিমধ্যে হুগলি জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা অয়নের কলেজে গিয়ে তাঁর কাজ দেখে প্রশংসা করেছেন। জেলা প্রশাসন থেকে কলেজের ‘ইলেকট্রিক্যাল কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়িয়ারিং’ বিভাগের ছাত্র অয়নকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

হুগলির আরামবাগ মহকুমা বন্যাপ্রবণ এলাকা। ফি বছর বন্যা হয় এখানে। অয়নের ডিভাইসকে বন্যা নিয়ন্ত্রণে কাজে লাগানো হতে পারে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। চন্দননগরের বাসিন্দা অয়ন বলেন, ‘‘১৫ কিলোমিটার অন্তর ওই ‘ডিভাইস’ বসিয়ে রাখলে জলের উচ্চতা কতটা বাড়ছে বা কমছে তা বোঝা যাবে। বাঁধগুলি থেকে নিয়ন্ত্রিত জল ছাড়তে ভীষণ কার্যকরী হবে এই ‘ফ্লাড মনিটরিং সিস্টেম’।’’

অন্য বিষয়গুলি:

flood Device Hooghly Engineer
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE