Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
attack

Attack: অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মেরে ভ্রূণ নষ্ট! হাওড়ার তরুণীর অভিযোগ ওড়ালেন তৃণমূল নেতা

অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মেরে ভ্রূণ নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা।

অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারার অভিযোগ।

অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারার অভিযোগ। প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাওড়া শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২২ ১৬:১৬
Share: Save:

অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মেরে ভ্রূণ নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, ওই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা। ওই কাণ্ডে পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। ওই তৃণমূল নেতা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। হাওড়ার লিলুয়ার ঘটনা।

লিলুয়ার এক তরুণীর দাবি, গত ১৪ অগস্ট দুপুরে তাঁর স্বামী বাড়ির সামনে বৃষ্টির জলে ভেসে আসা জঞ্জাল সাফ করছিলেন। তাঁর অভিযোগ, এ নিয়ে প্রতিবেশী লক্ষ্মী তালুকদারের বচসা বাধে। তরুণীর আরও অভিযোগ, অশান্তি সাময়িক ভাবে মিটলেও রাতের দিকে ১০-১৫ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী নিয়ে তাঁদের বাড়িতে চড়াও হন প্রতিবেশী লক্ষ্মী, তাঁর স্বামী প্রেমানন্দ তালুকদার এবং তাঁদের ছেলে রবিন তালুকদার। এ নিয়ে তরুণী বলেন, ‘‘রাস্তা সাফাই নিয়ে অশান্তি হয় দুই পরিবারের মধ্যে। ওরা আমার স্বামীকে গালিগালাজ করছিল। আমি কারণ জিজ্ঞাসা করায়, তিন-চার জন আমার উপর চড়াও হয়। ওরা আমাকে রড, ছুরি নিয়ে মারতে এসেছিল। ওদের হাতে বন্দুকও ছিল। আমার পেটে লাথি মেরেছে। তার ফলে আমার চার মাসের ভ্রূণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কেশব হালদার, কার্তিক ঘোষ এবং লক্ষ্মী তালুকদাররা আমাকে মেরেছে। হাসপাতাল থেকে ফেরার পরেও ওরা আমাকে হুমকি দিয়েছে।’’

নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। এর পর গত ১৮ অগস্ট লিলুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। সোমবার রাতে পুলিশ অভিযুক্ত প্রেমানন্দ তালুকদার এবং তাঁর ছেলে রবিন তালুকদারকে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক ঝামেলার জেরে এই ঘটনা। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। ওই কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত কেশব হালদার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘ঘটনার দিন সন্ধ্যায় আমি ওখানে ছিলাম না। এই ঘটনার বিন্দুবিসর্গ জানি না।’’ কেশব প্রেমানন্দ এবং লক্ষ্মীর জামাই।

এ নিয়ে হাওড়া সদরের তৃণমূল সভাপতি কল্যাণ ঘোষ বলেন, ‘‘বিষয়টি কী ঘটেছে তা জানি না। খোঁজ নেব। তবে আইন আইনের পথে চলবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

attack woman Howrah
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy