—প্রতীকী চিত্র।
হাওড়ার সালকিয়ায় নিজের বাড়িতে হাওড়া পুরসভার সাফাইকর্মী শঙ্খ চট্টোপাধ্যায়কে খুনের ঘটনার কিনারা করল সিটি পুলিশ। ওই পুরকর্মীকে খুনের অভিযোগে তাঁর দীর্ঘদিনের পুরনো এক বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সঞ্জীব কর্মকার (৪০)। তাঁর বাড়ি ব্যারাকপুরের মণিরামপুরে। শনিবার রাতের ওই ঘটনার পরে রবিবার রাতেই মালিপাঁচঘরা থানার পুলিশ ব্যারাকপুর থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করে। সোমবার সঞ্জীব হাওড়া জেলা আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
পুলিশের দাবি, শনিবার দিনভর সঞ্জীবের সঙ্গেই ছিলেন শঙ্খ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের কারণ জেনে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জেনেছে, নেশার আসর ছেড়ে চলে যেতে চাওয়া নিয়ে গোলমালের জেরেই এই খুন। সামান্য বচসার জেরে শঙ্খের গলায় ভাঙা কাচের গ্লাস ঢুকিয়ে খুন করে পালিয়ে যায় সঞ্জীব। পুলিশ জানিয়েছে, শঙ্খ ও সঞ্জীবের বন্ধুত্ব প্রায় ২০ বছরের। ধৃত যুবক এক সময়ে হাওড়া সিটি পুলিশ এলাকার একটি থানায় পুলিশের গাড়ি চালাতেন। সেই সূত্রেই কোনও ভাবে হাওড়া পুরসভার সাফাইকর্মী শঙ্খের সঙ্গে পরিচয় ও বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে সঞ্জীবের।
হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘সঞ্জীব অতিরিক্ত মদ্যপান করতে শুরু করায় এক সময়ে তার পুলিশের গাড়ি চালানোর চাকরি চলে যায়। অন্য দিকে, অবিবাহিত শঙ্খও প্রচুর মদ্যপান করতেন। ফলে সঞ্জীব মদ খাওয়ার সঙ্গী হিসেবে শঙ্খকে পেয়ে যায়। দু’জনে প্রায় দিনই মদের আসর বসাতে শুরু করে। অবশেষে সেই মদ্যপানের আসরেই বন্ধুকে সাময়িক উত্তেজনার বশে খুন করে সঞ্জীব।’’
তদন্তকারীরা জানান, ঘটনার দিন শঙ্খর বাড়িতে মদের আসর চলাকালীন সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে যাওয়ায় সঞ্জীব বাড়ি ফিরতে চেয়েছিল। কিন্তু রাজি ছিলেন না শঙ্খ। আরও কিছু ক্ষণ তাঁর সঙ্গে বসে মদ্যপান করার প্রস্তাব দেন তিনি। কিন্তু তাতে রাজি ছিল না সঞ্জীব। এ নিয়েই মত্ত অবস্থায় দু’জনের হাতাহাতি বেধে যায়। আর তখনই সঞ্জীব রাগের মাথায় মদের গ্লাস ভেঙে শঙ্খর গলায় বার বার ঢুকিয়ে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় শঙ্খ ঘরের মেঝেতে লুটিয়ে পড়লে বেগতিক দেখে সঞ্জীব চম্পট দেয়। কিন্তু নিজের চশমাটি বিছানায় ফেলে রেখে যায় সে। মূলত সেই চশমা ও মোবাইলের সূত্র ধরেই সঞ্জীবকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy