Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Kona Expressway

হাওড়ায় কোমর জলে ডুবে কোটি টাকার আন্ডারপাস! বন্ধ কোনা এক্সপ্রেসওয়ের একটি লেন

কোনা এক্সপ্রেসওয়ের গরপা এলাকায় একটি সেতুর পাশাপাশি সেখানকার সব চেয়ে নিচু জমিতে ওই আন্ডারপাস তৈরি করেছিল রাজ্য পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক বিভাগ।

An image of Kona Expressway

কোনা এক্সপ্রেসওয়ের কাছে জলমগ্ন গরপা সেতুর আন্ডারপাস। বুধবার।  ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:৩৪
Share: Save:

কয়েক কোটি টাকা খরচ করে মাত্র মাস পাঁচেক আগে তৈরি করা হয়েছিল আন্ডারপাস। সেটির উদ্বোধন করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনা এক্সপ্রেসওয়ের উপরে গরপা সেতুর সেই আন্ডারপাস গত তিন দিন ধরে ডুবে আছে কোমর সমান জলে। যার ফলে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের কলকাতামুখী একটি লেন পুরো বন্ধ রেখে অন্য লেন দিয়ে দু’দিকে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। হাওড়া জেলা প্রশাসন এবং পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক শাখার পদস্থ ইঞ্জিনিয়ারদের পাশাপাশি হাওড়া সিটি পুলিশ ও পুরসভার কর্তারা একাধিক ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করেও পরিস্থিতির বিন্দুমাত্র উন্নতি ঘটাতে পারেননি বুধবারেও। অন্য দিকে, গত তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে হাওড়া পুরসভার ২০টি ওয়ার্ড। বেলগাছিয়া ভাগাড়ে ধস নামার কারণে মূল নিকাশি নালা এখনও বুজে আছে। তাই বানভাসি অবস্থা উত্তর হাওড়া, বেলগাছিয়া ও টিকিয়াপাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকার।

কোনা এক্সপ্রেসওয়ের গরপা এলাকায় একটি সেতুর পাশাপাশি সেখানকার সব চেয়ে নিচু জমিতে ওই আন্ডারপাস তৈরি করেছিল রাজ্য পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক বিভাগ।এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই জায়গাটি অত্যন্ত নিচু হওয়ায় আগে ভারী বৃষ্টি হলে সেই জল বেরোত উনসানি, নয়াবাজ বা শীতলাতলা দিয়ে। কিন্তু জগাছায় একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হওয়ার সময়ে কয়েক একর জলাজমি বুজিয়ে ফেলা হয়। ফলে, বৃষ্টির সব জল এসে জমতে শুরু করে নিচু ওই এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দা আজিজুর রহমান বলেন, ‘‘এলাকার মূল জলাধার বলতে ছিল ওই জলাজমিটি। সেটি বেআইনি ভাবে বুজিয়ে দেওয়ায় সব জল এসে জমা হচ্ছে এই আন্ডারপাসে। তা আর বেরোনোর পথ পাচ্ছে না।’’

এই অসহনীয় পরিস্থিতি থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে গত মঙ্গলবার বৈঠক করেন হাওড়ার জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া পি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক বিভাগের পদস্থ ইঞ্জিনিয়ারেরা এবং হাওড়া সিটি পুলিশের কর্তারা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বুধবার সকাল থেকে একটি বেসরকারি রিসর্টের রাস্তা কেটে সেই জল পাশের ঝিলে ফেলা হবে। বসানো হবে একটি পাইপ। যদিও এ দিন দুপুরে গরপার সেই আন্ডারপাসে গিয়ে দেখা যায়, তখনও জলস্তর একটুও নামেনি। জল বার করার চেষ্টা চালাচ্ছেন পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারেরা। এক পদস্থ ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ‘‘আন্ডারপাসে যাতে এলাকার জল না ঢোকে, তার জন্য বিভিন্ন নিকাশি নালার মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় লোকজন সেগুলি খুলে দেওয়ায় এই বিপত্তি।’’

অন্য দিকে, হাওড়ার বিভিন্ন ওয়ার্ড জলমগ্ন থাকার প্রসঙ্গে পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমাদের ৫০টি পাম্প চলছে। টানা বৃষ্টির জন্য জল জমছে। বেলগাছিয়া ভাগাড়ে ধসের জন্য মূল নিকাশি নালাটি অবরুদ্ধ হয়ে থাকায় জলমগ্ন হয়েছে উত্তর হাওড়া ও বেলগাছিয়া।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Kona Expressway Water logged Howrah
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy