Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Both hand Spin Bowler

দু’হাতে স্পিন, ক্রিকেট মাঠ মাতাচ্ছে উলুবেড়িয়ার মেয়ে

উলুবেড়িয়ার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে যদুরবেড়িয়ায় অরিক্তাদের বাড়ি। বাবা সৌভিক মান্না দন্ত চিকিৎসক। মা মোনালিসা গৃহবধূ।

অরিক্তা মান্না। 

অরিক্তা মান্না। 

সুব্রত জানা
উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪ ০৮:৩৭
Share: Save:

এই ডান হাতে অফস্পিন, তো পরের মুহূর্তেই বাঁ হাতের ঘূর্ণি! বাইশ গজে তাকে সামলাতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় বিপক্ষের ব্যাটারদের। হাওড়ার উলুবেড়িয়ার ১১ বছরের অরিক্তা মান্না এ বার প্রো টি-২০ ক্রিকেটে সকলের নজর কাড়ছে। প্রতিযোগিতার কনিষ্ঠ কন্যার ঝুলিতে ছ’টি ম্যাচে সাতটি উইকেট। ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া অরিক্তার নিশানায় এখন শুধুই বিপক্ষের উইকেট।

উলুবেড়িয়ার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে যদুরবেড়িয়ায় অরিক্তাদের বাড়ি। বাবা সৌভিক মান্না দন্ত চিকিৎসক। মা মোনালিসা গৃহবধূ। পাঁচ বছর বয়সে বাবার সঙ্গে মাঠে টেনিস খেলা দেখতে গিয়ে ক্রিকেটের প্রেমে পড়ে যায় অরিক্তা। বাবার সঙ্গে মাঠে ব্যাট-বল খেলবে বলে বায়না ধরত। আব্দার রাখতে মেয়ের কচি হাতে ব্যাট ধরিয়ে দিতেন সৌভিক। নিজে বল ছুড়তেন। মেয়ে ব্যাট চালাত। মেয়ের উৎসাহ দেখে ওই বয়সেই সৌভিক তাকে হাওড়ার জগাছার একটি ক্রিকেট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি করেন। ওইটুকু শিশুকে ক্রিকেট মাঠে দেখে অবাক হয়েছিলেন সকলেই।

প্রশিক্ষণ শিবিরে কোচ দেবব্রত আচার্যের চোখে পড়ে যায় অরিক্তা। এরপরে আর এক কোচ সব্যসাচী দাসের কাছে প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু হয়। তাঁরও প্রিয় হয়ে ওঠে অরিক্তা। ইতিমধ্যেই হাত ঘুরিয়ে বল করতে শুরু করে সে। মাত্র ৭ বছর বয়সে অনূর্ধ্ব ১২ পর্যায়ের একটি ম্যাচে তাকে খেলানো হয়। তার খেলা নজর এড়ায়নি কোচেদের। এরপর বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে সে খেলেছে। বাংলার অনূর্ধ্ব ১৫ দলের ট্রায়ালেও ডাক পায়। সুযোগ মেলে সিএবি-র গ্রিন দলে। মহিলা বেঙ্গল প্রো টি-২০ লিগে সে কলকাতা টাইগার্স দলের সদস্যা।

খেলাধুলোর সুবিধার জন্য বাবা-মা তাকে হাওড়ার একটি বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করেন। অরিক্তার বোনও ক্রিকেট ভালবাসে। বাবা এবং বোনের সঙ্গে এলাকার মাঠে অনুশীলন করে অরিক্তা। স্থানীয় মানুষজন চান, দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলে এলাকার নাম উজ্জ্বল করুক ঘরের মেয়ে।

অন্য বিষয়গুলি:

Uluberia Cricket
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE