বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। ঘটনার ছবি ধরা পড়ল দোকানে লাগানো সিসি ক্যামেরায়।। নিজস্ব চিত্র।
হুগলি পুরসভার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে মিষ্টির দোকানে, এমনই অভিযোগ এসেছিল ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অজয় সিংহের কাছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার হিন্দমোটর স্টেশন রোড এলাকায় সেই মিষ্টির দোকানে গিয়ে ঝামেলায় জড়ালেন তিনি। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। ঘটনার ছবি ধরা পড়ল দোকানে লাগানো সিসি ক্যামেরায়।
মিষ্টি ব্যবসায়ী সঞ্জয় পালের অভিযোগ, তাঁকে, তাঁর স্ত্রীকে এবং দোকানের কর্মচারীকে মারধর করেন কাউন্সিলর। তিনি বলেন, “আমরা দোকানে কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করি। শুধু বলেছিলাম প্লাস্টিক এখানে বন্ধ করে কী হবে যেখানে তৈরি হচ্ছে সেই কারখানা বন্ধ করো। কাউন্সিলর দলবল নিয়ে এসে মারধর করল। আমার কপাল ফেটে গিয়েছে। আসলে প্লাস্টিক বন্ধ করা একটা লোক দেখানো ব্যাপার। আসলে, ভোটের সময় আমার দোকানে বিজেপির একটা হোর্ডিং লাগানো ছিল সেটাই রাগের কারণ।” ব্যবসায়ীর স্ত্রী প্রতিমা পাল বলেন, “তৃণমূলের লোকজন এসে মারধর করেছে। আমার জামা ছিঁড়ে দিয়েছে। ওরা জিতেছে বলে এমন করবে কেন?”
তবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন তৃণমূল কাউন্সিলর অজয় সিংহ ওরফে মার্শাল। তিনি বলেন, “পুরসভার পক্ষ থেকে প্লাস্টিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে উত্তরপাড়া জুড়ে প্রচার চালানো হচ্ছে বিগত বেশ কিছু দিন ধরে। সোমবার আমাদের ওয়ার্ডের কিছু মহিলা কর্মী তাঁদের মিষ্টির দোকানে গিয়ে প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করার কথা বলাতে মিষ্টি ব্যবসায়ীর স্ত্রী তাঁদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। আমাদের কর্মীদের গালমন্দ করেছে। মঙ্গলবার, আমি নিজে গিয়ে প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে বলি তখনই আমার উপর চড়াও হয়। আমাকেও খারাপ কথা বলে এবং আমার গলা ধরে ধাক্কা মারা হয়।”
স্থানীয় বিজেপি নেতা পঙ্কজ রায় বলেন, “প্লাস্টিক যদি ব্যবহার করে থাকে তার জন্য নির্দিষ্ট আইন আছে। পুরসভা প্রয়োজনে জরিমানা করতে পারে। তার জন্য মারধর করতে হবে এটা কোন আইনে লেখা আছে? আসলে তৃণমূল ব্যবসায়ীদের বিরোধী। বড় নেতারা বড় ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আর ছোট নেতারা ছোট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কাজ করছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy