সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু। প্রতীকী চিত্র।
সাপে কামড়ানো শিশুকে ঝাড়ফুঁক করতে গিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেরি। তার জেরে মৃত্যু হল বছর চারেকের এক শিশুর। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটেছে হুগলির পোলবায়। সাপে কামড়ানো নিয়ে মানুষকে সচেতনতার বার্তা দিতে বুধবার পোলবার ওই গ্রামে পৌঁছন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক এবং সর্পবিদরা।
মঙ্গলবার পোলবার সুদর্শন গ্রামের বাসিন্দা সুরজিৎ বাউলদাস (৪) বাড়ির কাছে মাঠে খেলা করছিল। তার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, খেলার সময় আচমকা সুরজিৎ একটি গর্তে হাত ঢুকিয়ে দেয়। সেই গর্তে থাকা বিষধর সাপ ছোবল মারে তার হাতে। এর পর শিশুটির ঠাকুমা তাকে মনসাতলায় নিয়ে যান। তার পর তাকে আবার স্থানীয় এক ওঝার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় ঝাড়ফুঁক করার জন্য। কিন্তু সেই সময় ওঝা বাড়িতে না থাকায় শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় পোলবা ব্লক হাসপাতালে। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা শিশুটিকে দেখে জানিয়ে দেন, তার মৃত্যু হয়েছে। এর পর ওই শিশুর পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে যায় চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে। সেখানেও চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর শিশুটির দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সাপে কামড়ানো নিয়ে গ্রামবাসীদের সচেতনতাবৃদ্ধির জন্য বুধবার সুদর্শন গ্রামে পৌঁছয় পোলবা ব্লক হাসপাতাল এবং পোলবা ব্লক প্রশাসনের একটি দল। সেই দলে ছিলেন সর্পবিশারদ চন্দন ক্লেমেন্ট সিংহ। সাপে কামড়ানো রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয় ওই দলটি। বিভিন্ন সাপের প্রকৃতি, কোন সাপ বিষধর, কোন সাপ কামরালে দ্রুত বিষ রক্তে মিশে যায় তা বুঝিয়ে দেন সর্প বিশারদ চন্দন। পোলবা ব্লকের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর কুণাল মজুমদার বলেন, ‘‘শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে অনেক দেরি হয়েছিল। গ্রামের মানুষদের বোঝানো হয়েছে যে, সাপে কামড়ালে যত দ্রুত সম্ভব তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। সেখানে টিকা মজুত রাখা আছে। যদি আগে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হত তা হলে এই ঘটনা এড়ানো যেত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy