Advertisement
E-Paper

পার্কিং ফি নিয়ে বচসা! শালিমার স্টেশনের বাইরে মুম্বইয়ের ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ

হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন জনকে আটক করা হয়েছে।

উত্তেজনা ছড়াল শালিমার স্টেশনের এই এলাকায়।

উত্তেজনা ছড়াল শালিমার স্টেশনের এই এলাকায়। নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:৫৭
Share
Save

পার্কিং ফি-কে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ার শালিমার স্টেশন চত্বরে। মুম্বইয়ের এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠল কয়েক জনের বিরুদ্ধে। পার্কিং ফি দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস ধরতে এসেছিলেন মুম্বইয়ের কাপড় ব্যবসায়ী বানিয়ামিন ইসরাফিল রাজ। অভিযোগ, সেই সময় স্টেশনের বাইরে পার্কিং জ়োনে কিছু ব্যক্তি তাঁর পথ আটকান। তার পর পার্কিং ফি চান। কিন্তু বছর চুয়ান্নের ওই ব্যবসায়ী তা দিতে অস্বীকার করায় মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু তাঁকে একা নয়, অভিযোগ তাঁর পুত্রকেও মারধর করা হয়েছে।

আহত অবস্থায় ওই ব্যবসায়ীকে সাউথ হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর মাথায় সাতটা সেলাই পড়েছে। ঘটনার কথা জানিয়ে শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যবসায়ী। অভিযোগকারী জানান, তিনি পার্কিংয়ে গাড়ি রাখেননি। তা সত্ত্বেও তাঁর কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করা হয়। গোটা ঘটনায় উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন তিনি।

পুলিশ ওই ব‍্যবসায়ীর অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।

উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল শালিমার স্টেশন চত্বর। হয় ইটবৃষ্টিও। সেই ইটের ঘায়ে আহত হয়েছিলেন কমপক্ষে ছ’জন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের পাশাপাশি এলাকায় নামানো হয় র‍্যাফ। পার্কিং এবং প্রোমোটিং নিয়ে এর আগেও শালিমার স্টেশন চত্বরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। চলতি বছরের জুন মাসে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ চরমে ওঠে। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, শালিমার স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় পার্কিং ও প্রোমোটিংয়ে মালপত্র সরবরাহ করবে কারা, তা নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। অন্য কাউকে কাজ করতে দেন না এলাকার কয়েক জন তৃণমূল কর্মী। সে বারও এমন মারামারির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন হাওড়া পুলিশকে।

Shalimar Station Shalimar

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}