—নিজস্ব চিত্র।
ঘটনার ছ’দিন পর শিবপুরের তৃণমূল কর্মী খুনের কিনারা করল হাওড়া সিটি পুলিশ। গত ২৩ অক্টোবর রাতে জিটি রোডের উপর তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনে খুব কাছ থেকে গুলি করে তৃণমূল কর্মী আব্দুল কাদের ওরফে প্রেমকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, মাদক পাচার-সহ কমপক্ষে ১০টি মামলা ছিল। এই ঘটনার তদন্তে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে সিট (বিশেষ তদন্তকারী দল) গঠন করা হয়। ঘটনার রাতেই এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার পর্যন্ত পুলিশ মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার হয়েছে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র, একটি স্কুটি এবং বাইক। পুলিশ জানিয়েছে নিজেদের মধ্যে শত্রুতার জেরে ওই খুন।
মঙ্গলবার হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন, “ঘটনার পর কলকাতা পুলিশকে সতর্ক করা হয়। সেই রাতে কলকাতা পুলিশের একটি দল ঘটকপুরে দুষ্কৃতীদের একটি স্কুটির পিছু নিলে, সেটি ফেলে তারা পালিয়ে যায়। পুলিশ খুনের সময় ব্যবহৃত স্কুটি এবং পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। এর পর এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে মহম্মদ দানিশ এবং মহম্মদ ফৈয়াজ নামে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। তাঁরা এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে এই ঘটনার শুটার আফতাব ঘটনার পর উত্তরপ্রদেশে পালিয়ে যান।”
কমিশনার আরও বলেন, “হাওড়া সিটি পুলিশের একটি তদন্তকারী দলকে উত্তরপ্রদেশে পাঠানো হয়। তাঁরা গাজিপুর, আজিমগড় এবং বরাবাঁকি-সহ বিভিন্ন ডেরায় হানা দিয়ে আফতাব নামে ওই শুটারকে গ্রেফতার করে। ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে মঙ্গলবার হাওড়ায় নিয়ে আসা হচ্ছে।”
সোমবার সূত্র মারফত খবর পেয়ে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের নিমতা থানা এলাকা থেকে ভিকি এবং তৌফিক হোসেন ওরফে গেড়া নামে দু’জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। তাঁদের কাছ থেকে দু’টি সেভেন এমএম পিস্তল, একটি বাইক এবং নগদ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ওই বাইক খুনের সময় ব্যবহার করা হয়েছিল কি না তা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, দু’টি দুষ্কৃতী দলের শত্রুতার জন্য এই খুন। ২০১৪ সাল থেকে তাঁদের মধ্যে শত্রুতা ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy