—প্রতীকী চিত্র।
কারখানার নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর করার পরে বেঁধে রেখে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার দস্তার বার নিয়ে চম্পট দিল এক দল দুষ্কৃতী। শুক্রবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি কারখানায়। তবে, অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে তদন্তে নেমে এক দিনের মধ্যে ডাকাতির কিনারা করল পুলিশ। শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে দুষ্কৃতী দলের চার জনকে। পাশাপাশি, লুট হওয়া সমস্ত সামগ্রী উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। আটক করা হয়েছে একটি মালবাহী গাড়িও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাত দেড়টা নাগাদ। শনিবার দুপুরে ওই সংস্থার কর্তৃপক্ষ ডোমজুড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে ওই রাতেই ডাকাতদলের চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে মালিপাঁচঘরার একটি গুদাম থেকে উদ্ধার হয় লুট হওয়া দস্তার বার।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে ১০-১২ জন দুষ্কৃতীর একটি দল মালবাহী গাড়ি ও মোটরবাইক নিয়ে হানা দেয় ওই কারখানায়। প্রথমেই কারখানার নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর করে তাঁর হাত-পা বেঁধে ফেলে তারা। এর পরে প্রায় চার টন দস্তার বার লুট করে, মালবাহী গাড়িটিতে তুলে চম্পট দেয়। পালানোর আগে কারখানার সিসি ক্যামেরাও খুলে নিয়ে যায় ডাকাতেরা।
যে গাড়িটিতে করে দস্তার বার নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে জাতীয় সড়কের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সেই গাড়িটি চিহ্নিত করে। এর পরে গাড়ির মালিক অবিনাশ সিংহকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বাকি তিন দুষ্কৃতীর কথা জানা যায়। একে একে সুব্রত সেন ওরফে ছোটকা ও তার বন্ধু বিশালকুমার সাউকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় বিকাশ জায়সওয়াল নামে আর এক অভিযুক্তকেও। পুলিশ জানিয়েছে, ছোটকা ও বিশাল ডাকাতিতে সরাসরি যুক্ত ছিল। অন্য দিকে, লুট হওয়া সামগ্রী নিজের হেফাজতে রেখেছিল বিকাশ।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে হাওড়া সিটি পুলিশের উপ-নগরপাল (দক্ষিণ) বিশ্বজিৎ মাহাতো বলেন, ‘‘অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে ডাকাতির কিনারা করেছে পুলিশ। অভিযোগ দায়ের হওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে ডাকাতদলের চার জনকে গ্রেফতার করে সমস্ত সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।’’ তদন্তকারীদের অনুমান, এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েক জন দুষ্কৃতী জড়িত। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy