কোভিশিল্ড টিকা।
আগামী তিন দিন বাগবাজারের কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল স্টোরে পুলিশি ঘেরাটোপ থেকে কোভিশিল্ড টিকা পৌঁছবে জেলার হাসপাতালগুলিতে। স্বাস্থ্য দফতরের ‘ইনসুলেটেড ভ্যানে’ সেগুলি পৌঁছেছে বাগবাজারে। ১৬ জানুয়ারি, শনিবার থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হবে টিকাকরণ। ওই টিকা প্রথমে পাবেন কোভিড হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎক, নার্স এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেই মতোই পদক্ষেপ করা হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে।
টিকাকরণের সময় জটিলতা এড়াতে রাজ্য জুড়ে আগেই টিকা দেওয়ার মহড়া হয়েছে পদ্ধতি মেনে। রাজ্যের স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী মঙ্গলবার বলেন, “রাজ্যে কোভিশিল্ড পৌঁছে গিয়েছে। কোভিড-১৯ হাসপাতালে যে সব স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করছেন, তাঁরাই প্রথমে টিকা পাবেন। সেই সংখ্যাটা প্রায় ৬ লক্ষ।” দ্রুত টিকাকরণের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় বিষয়টিকে স্বাগত জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। হেলথ সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মানস গুমটা বলেন, “কোভিশিল্ড আপাতত দেওয়া হচ্ছে। কোভ্যাক্সিন এখনও পরীক্ষানিরীক্ষার মধ্যে রয়েছে। কোনও জার্নালে তার কার্যক্ষমতার বিষয়ে তথ্য প্রকাশ পায়নি। ফলে কোভ্যাক্সিন দিতে হলে ওই ব্যক্তির অনুমতি নিয়েই দেওয়া হবে। সরকারও সেটা জানে।”
গ্রাফিক—শৌভিক দেবনাথ
সাধারণ মানুষ চতুর্থ বা পঞ্চম পর্যায়ে কোভিশিল্ড পাবেন। তবে তার আগেই বাজারে চলে আসতে পারে করোনার আরও টিকা। আপাতত সরকারি স্তরে আলোচনা হয়েছে। বুথভিত্তিক তালিকা (ভোটার লিস্ট) খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি যাবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁরাও নাম নথিভুক্ত করবেন (ভোটার তালিকার মতো তথ্যপঞ্জি তৈরি করা হবে)। তার পর জানিয়ে দেওয়া হবে কবে, কোথায় টিকা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন :এ বার সরকারি পদ থেকে সরানো হল শিশিরকে, এলেন অখিল
আরও পড়ুন :গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ হোক, চান না মুখ্যমন্ত্রী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy