রাজ্য জুড়ে চলছে প্রবল বৃষ্টিপাত। একাধিক জেলায় বাড়ি ভেঙে হতাহত হয়েছেন অনেকে। বৃহস্পতিবারও তার ব্যতিক্রম হল না। হুগলিতে বৃষ্টির দাপটে বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়ে এক দম্পতির উপর। তাতে মৃত্যু হয় এক মহিলার। পূর্ব বর্ধমান জেলায় বাড়ি ভেঙে পড়ে আহত হয়েছেন এক দম্পতি। নদিয়াতেও ঘরের ছাদ ধসে পড়ে আহত হয়েছেন একজন। মালদহে প্রবল বৃষ্টিতে মাটি সরে গিয়ে ভেঙে পড়েছে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র।
আরও পড়ুন:
প্রথম ঘটনাটি হুগলির পাণ্ডুয়ার। কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে প্রবল বৃষ্টিতে আটকে পড়েছিলেন স্থানীয় হিমঘরে কর্মরত বছর ছত্রিশের কবিতা বাগ। বৃষ্টি থেকে মাথা বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছিলেন একটি গোয়ালঘরের পাশে। বৃষ্টির জেরে সেই গোয়ালের একটি দেওয়াল তাঁর উপর ভেঙে পড়ে। প্রতিবেশীরা কবিতাকে উদ্ধার করে কালনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূলের অভিযোগ, আবাস যোজনার টাকা কেন্দ্র আটকে দেওয়ায় গরিব মানুষ ঘর পাকা করতে পারেননি। তাই বৃষ্টি শুরু হতেই একের পর এক বাড়ি ভেঙে পড়ে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এর আগে বাঁকুড়ায় বাড়ি ভেঙে মৃতদের পরিজনকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবারই প্রবল বৃষ্টির জেরে বাড়ি চাপা পড়ে আহত হয়েছেন এক দম্পতি। তার মধ্যে স্বামীর আঘাত গুরুতর। এই ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের রায়না ১ ব্লকের শ্যামসুন্দর অঞ্চলের মাঝপুর গ্রামের। দেওয়াল চাপা পড়ে গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন বাড়ির মালিক নিখিল সরকার। আহত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী টুম্পাও। তবে দম্পতির কন্যাসন্তানের কোনও আঘাত লাগেনি।
তৃতীয় ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে। এখানেও প্রবল বৃষ্টিতে বাড়ির ছাদ-সহ বাড়ি ধসে গিয়ে জখম হয়েছেন এক ব্যক্তি। মৃত্যু হয়েছে চারটি গৃহপালিত পশুর। একই দিনে মালদহে বৃষ্টির জেরে মাটি ধুয়ে গিয়ে ভেঙে পড়েছে আস্ত একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার ইংরেজবাজারের সেকন্দারপুরে।