চিকিৎসার ‘গাফিলতিতে’ মৃত্যু হয়েছে সিপিএম নেতার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে শিলিগুড়ির একটি হাসপাতালে ভাঙচুর চালালেন মৃতের আত্মীয়-পরিজনেরা। পরে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
রাজগঞ্জ ব্লকের নিউ জলপাইগুড়ি থানার অন্তর্গত ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি এলাকার সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সিপিএমের সৈকত আলি দীর্ঘ দিন ধরেই যকৃতের সমস্যায় ভুগছিলেন। অন্য শারীরিক সমস্যাও ছিল তাঁর। বেশ কয়েক দিন হায়দরাবাদে চিকিৎসা চলার পর ওই সিপিএম নেতাকে প্রথমে শিলিগুড়ির তিনবাতি এলাকার একটি হাসপাতালে, পরে সেখান থেকে ফুলবাড়ি এলাকার ওই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
মৃতের পরিজনেদের অভিযোগ, রোগীর শারীরিক পরিস্থিতির কথা আগে থেকে না-জানিয়ে হঠাৎ মৃত্যুর খবর জানানো হয় তাঁদের। তাঁদের আরও দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই সৈকতের মৃত্যু হয়েছে। অপর দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, রোগীকে সঙ্কটজনক অবস্থায় ভর্তি করানো হয়েছিল। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে পরিবারকে অবহিত করা হয়েছিল বলেও দাবি করেছে হাসপাতাল। মৃতের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত ভাবে হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
এই প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (পূর্ব) রাকেশ সিং বলেন, “একটা অভিযোগ দায়ের রয়েছে। রোগীমৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখছি। গোটা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।” ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। এখানকার চিকিৎসকের যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন। এখানে যা ঘটেছে, একেবারেই তা বাঞ্ছনীয় ছিল না। তবে মৃতের পরিবার বুঝতে পেরেছে হাসপাতালের তরফে কোনও খামতি ছিল না। তাই তারা অভিযোগ প্রত্যাহার করছে।”