প্রতীকী ছবি।
সোমবার পর্যন্ত পাতে ছিল নুন-ভাত। খবর প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা বদলে গেল ডিম-ভাতে। যদিও তাড়াহুড়োয় ডিমের ব্যবস্থা করতে গিয়ে মঙ্গলবার আর তা ঝোল করার সময় মেলেনি। হুগলির চুঁচুড়া বালিকা বাণীমন্দির স্কুলের ছাত্রীরা সেদ্ধ ডিমই মঙ্গলবার ভাত দিয়ে তৃপ্তি করে খেয়েছে। কয়েক জন পেয়েছে ডাল-সেদ্ধও।
বাণীমন্দির স্কুলে দীর্ঘদিন প্রধান শিক্ষিকার পদ খালি থাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন এক টিচার ইনচার্জ। ২২ জুলাই তিনি অন্যত্র বদলি হওয়ার পর স্কুলের প্রশাসনিক কাজে সমস্যা তৈরি হয়। তারই জের এসে পড়ে মিড-ডে মিলে। প্রায় এক মাস ধরে মিড-ডে মিলে কোনও দিন নুন-ভাত, কোনও দিন ফ্যান-ভাত, আলুসেদ্ধ দেওয়া হচ্ছিল। সোমবার হুগলির সাংসদ লকেট চট্ট্যোপাধ্যায় ওই স্কুলে গিয়ে পড়ুয়াদের নুন-ভাত খেতে দেখেন। শিক্ষিকারা তাঁর কাছে এক শিক্ষিকা এবং বিদায়ী টিচার ইনচার্জের বিরুদ্ধে মিড-ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগ জানান। সাংসদ বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ করেন। এর পরেই স্কুলের এক শিক্ষিকা এবং বিদায়ী টিচার ইনচার্জকে সাসপেন্ড করা হয়।
মঙ্গলবার নিউ টাউনের একটি বৈঠক থেকে বেরিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ ব্যাপারে জানান, মিড-ডে মিলে কেউ যদি গরমিল করে তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রীর পাল্টা অভিযোগ, মিড ডে মিলের টাকা বরাদ্দ করে কেন্দ্র। সেই টাকা ঠিক মতো দিচ্ছে না। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘মিড ডে মিলের যে প্রাপ্য, কেন্দ্র সেটা দিচ্ছে না কেন? বাচ্চাদের হপ্তায় দু’দিন ডিম পাওয়ার কথা। রোজ সব্জি পাওয়ার কথা। ওরা সেটা পায় না কেন? ’’
অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এ দিন দুপুরে চুঁচুড়ার পুরপ্রধান তথা স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় স্কুলে আসেন। শিক্ষিকারা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। শিক্ষিকা দীপান্বিতা ঘোষ বলেন, ‘‘পরিচালন কমিটির সভাপতি এই অবস্থা জানা সত্ত্বেও স্কুলে আসেননি। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসায় এ দিন তিনি স্কুলে এসেছেন।’’ এর পর সদর মহকুমাশাসক হাজির হন স্কুলে। তিনি পরিচালন কমিটির সভাপতি এবং স্কুল শিক্ষিকাদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেন। যত দিন টিচার ইনচার্জ অথবা প্রধান শিক্ষিকা নিয়োগ না হচ্ছে, তত দিন জেলা প্রশাসন পড়ুয়াদের মিড ডে মিল দেবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। দুপুর দেড়টা নাগাদ পড়ুয়াদের জন্য সেদ্ধ ডিম স্কুলে এসে পৌঁছয়। জেলাশাসক এলুচুরি রত্নাকর রাও জানান, ‘‘শিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে খুব তাড়াতাড়ি স্কুলের সমস্যা সমাধান করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy