বেনাপোল সীমান্ত পেরিয়ে ইলিশ ভর্তি ৬টি ট্রাক পেট্রাপোল বন্দরে ঢুকেছে।
প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে সোমবার রাত ৮টা নাগাদ সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে ঢুকে পড়ল পদ্মার ইলিশ। ২০১২ সালের পরে এই প্রথম।
বেনাপোল সীমান্ত পেরিয়ে ইলিশ ভর্তি ৬টি ট্রাক পেট্রাপোল বন্দরে ঢুকেছে। পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, এ দিন সাড়ে ৩০ টন পদ্মার ইলিশ এসেছে। কয়েক দিনের মধ্যে দফায় দফায় মোট ৫০০ টন ইলিশ ঢোকার কথা বাংলাদেশ থেকে। কলকাতা-সহ রাজ্যের বাজারে কয়েক দিনের মধ্যেই পৌঁছে যাবে মাছ। ভোজনরসিক বাঙালি পুজোয় পদ্মার ইলিশের স্বাদ পাবেন।
এত দিন কেন ও পার বাংলার পদ্মার ইলিশের দেখা মিলছিল না এ রাজ্যের বাজারে?
রাজ্যের ইলিশ আমদানিকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, দেশের ঘরোয়া বাজারে ইলিশের জোগান বাড়িয়ে দাম আয়ত্তে রাখার যুক্তি দেখিয়ে ২০০৭ সালে ইলিশ রফতানি নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশের তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। পরে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এসে ২০০৯ সালে ইলিশ রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহার করে। সাইজ অনুযায়ী ইলিশের রফতানির দর বেঁধে দেয়। কিন্তু সে দেশের বাজারে ইলিশের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই ইলিশ রফতানির উপরে তিন মাসের জন্য পরীক্ষামূলক ভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বাংলাদেশ সরকার। সেই নিষেধাজ্ঞা আর ওঠেনি। এ বারে পুজোর উপহার হিসেবে এই ৫০০ টন মাছ রফতানির ছাড়পত্র দিয়েছে হাসিনা সরকার। রবিবার ইলিশ সীমান্তে পৌঁছলেও কাগজপত্র নিয়ে জটিলতা হওয়ায় তা সীমান্ত পেরোতে পারেনি। সোমবার সেই জট ছাড়িয়ে ইলিশ অবশেষে ঢুকেছে।
এ রাজ্যে ইলিশ আমদানিকারী সংস্থা ‘ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’ ইলিশ রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে বহু বার আবেদন করেছে। কেন্দ্রের কাছেও আবেদন করা হয়। কিন্তু সমস্যা মেটেনি। সংগঠনের সভাপতি অতুলচন্দ্র দাস বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনার কাছে সরাসরি চিঠি দিয়ে ইলিশ রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আবেদনও করেছিলাম। তারপরেও অগ্রগতি হয়নি।’’ মুখ্যমন্ত্রী এক বার ইলিশ রফতানির নিষেধাজ্ঞা তোলার জন্য শেখ হাসিনার কাছে আর্জি জানালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে বকেয়া তিস্তা চুক্তির বিষয়টি তুলে বলেছিলেন, ‘‘পানি এলেই ইলিশ চলে যাবে।’’
এ বার তা হলে কী ভাবে সম্ভব হল ইলিশ আমদানি?
অতুল বলেন, ‘‘এক জন ব্যবসায়ীকে বাংলাদেশ সরকার ইলিশ আমদানি করতে অনুমতি দিয়েছেন। আমরা চাই, সব আমদানিকারীকেই বাংলাদেশ সরকার সেই সুযোগ দিক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy