Advertisement
E-Paper

দু’সপ্তাহের মধ্যে ২০০৯ সালের প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট

চারটি জেলায় পরীক্ষায় কারচুপির অভিযোগ ওঠে। তার পরে ২০১১ সালে সেই পরীক্ষা বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়। ২০১৪ সালে ফের পরীক্ষা হয়। সেই থেকে মেধাতালিকা প্রকাশ হয়নি।

হাই কোর্ট জানাল, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে ২০০৯ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।

হাই কোর্ট জানাল, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে ২০০৯ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। — ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২২ ১৬:৫০
Share
Save

২০০৯ সাল থেকেই তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ ছিল। সেই সব প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এ বার সুখবর। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দিল, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে ২০০৯ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। উত্তর ২৪ পরগনা, মালদহ এবং হাওড়ার মতো দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ২০০৯ সালের চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ।

২০০৯ সালের প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণেরা সোমবার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন। দাবি করেন, তাঁদের মামলার দ্রুত শুনানি হোক এবং রাজ্য সরকার বিষয়টিতে নজর দিক। কুণালের আশ্বাস পেয়েই মঙ্গলবার তাঁরা ধর্না তুলে নেন। তার আগে ৩৭ দিন ধরে চাকরির দাবিতে ধর্না দিচ্ছিলেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতেই ২০০৯ সালের চাকরিপ্রার্থীদের স্বস্তি দিল হাই কোর্ট।

চাকরির দাবিতে মামলাটি করেছিলেন প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রায় এক হাজার প্রার্থী। তাঁদের আইনজীবী সৌমেশকুমার ঘোষ জানান, ২০০৯ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১,৮৩৪ শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। লিখিত পরীক্ষাও হয়। চারটি জেলায় পরীক্ষায় কারচুপির অভিযোগ ওঠে। তার পরে ২০১১ সালে সেই পরীক্ষা বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়। ২০১৪ সালে ফের পরীক্ষা হয়। সেই থেকে মেধাতালিকা প্রকাশ হয়নি। পরে মালদহ, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনায় ২০০৯ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে নিয়োগ সম্পূর্ণ হয়। বাকি থেকে যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার নিয়োগ প্রক্রিয়া। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। দু’সপ্তাহের মধ্যে পদক্ষেপের নির্দেশ।

সোমবার ২০০৯ সালের চাকরিপ্রার্থীরা দেখা করার পর কুণাল বলেছিলেন, ‘‘বাম জমানার ওই নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছিল। সেই থেকে জলঘোলা চলছে। কোনও একটি মহল ওদের নিয়োগ জোর করে আটকে রাখছে। বিকাশ ভট্টাচার্যদের অন্য ক্ষেত্রে দরদ থাকলেও এ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে না। কারণ এটা ২০০৯ সালের নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়ম থেকে শুরু। আদালতে শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রয়েছে। যে ভাবে ওদের জিনিসটা আটকে রয়েছে, সেটা ঠিক করা হোক। আমি ওদের পাশে আছি। পর্ষদ সভাপতি ওঁদের প্রতি সহানুভূতিশীল। আলোচনা অত্যন্ত ইতিবাচক হয়েছে। আশা করি জট তাড়াতাড়ি খুলে যাবে।’’

Primary Teacher Recruitment Calcutta High Court TET Teacher

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}