ফাইল ছবি
কিছু দিন আগে উত্তর ২৪ পরগনায় বধূ-নির্যাতনের একটি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে অভিযুক্তের আগাম জামিন খারিজ হয়ে যায়। অভিযোগ ওঠে, উচ্চ আদালতে সেই আগাম জামিন খারিজ হওয়া সত্ত্বেও তদন্তকারী অফিসার সেই অভিযুক্তকে সময়মতো গ্রেফতার করেননি।
শুধু উত্তর ২৪ পরগনার ওই মামলা নয়, এই ধরনের আরও অনেক অভিযোগ সামনে আসার পরে বৃহস্পতিবার রাজ্যের সব থানার ওসি এবং আইসি-দের কাছে হাই কোর্টের সরকারি আইনজীবীদের তরফে একটি নির্দেশ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, কলকাতা হাই কোর্টে কারও আগাম জামিনের আর্জি খারিজ হলে দ্রুত নিম্ন আদালতে আবেদন জানিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য পরোয়ানা বার করতে হবে আইসি, ওসি বা তদন্তকারী অফিসারকে। সেই সঙ্গে সরকারি কৌঁসুলি এবং পুলিশের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে।
এক পুলিশকর্তা জানান, নির্দেশে বলা হয়েছে, কোনও অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ হলে সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তকারী অফিসার কিংবা থানার আইসি বা ওসি সরকারি কৌঁসুলির সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। একই সঙ্গে মামলার কেস ডায়েরি সংগ্রহ করে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের বিষয়ে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তিনি। অভিযুক্তের জামিন বাতিলের পরেই স্থানীয় নিম্ন আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করতে হবে থানার ওসি, আইসি এবং তদন্তকারীকে। পরের ধাপে অর্থাৎ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরে তা রূপায়ণ করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে না-পারলে স্থানীয় আদালতের বিচারককে জানিয়ে তাঁকে ফেরার ঘোষণা করতে হবে। অভিযুক্তের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্যও আবেদন করতে হবে আদালতে।
দক্ষিণবঙ্গের একটি জেলার এক আধিকারিক জানান, নির্দেশে সুস্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে, অভিযুক্তকে ধরার জন্য পুলিশ যে চেষ্টা করেছে, তা কেস ডায়েরিতে উল্লেখ করতে হবে। একই সঙ্গে আগাম জামিন খারিজ হয়ে যাওয়ার পরে অভিযুক্তকে পাকড়াও করতে অন্য এজেন্সির সাহায্য নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy