Advertisement
E-Paper

অ্যাকোয়ারিয়ামের জমি পাচ্ছে হিডকো, প্রশ্নে মাছেদের ডেরা

ব্যারাকপুর থেকে ১৮৭৫ সালে আলিপুরে স্থানান্তর হয় চিড়িয়াখানা। তখন আলিপুর রোডের দু’পাশেই ছিল চিড়িয়াখানার জমি।

রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় অ্যাকোয়ারিয়াম থাকলেও এত বড় নয়।

রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় অ্যাকোয়ারিয়াম থাকলেও এত বড় নয়। —ফাইল চিত্র।

সুরজিৎ সিংহ

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৫ ০৯:৩৩
Share
Save

সার্ধশতবর্ষে কি আরও ছোট হচ্ছে আলিপুর চিড়িয়াখানা? আলিপুর চিড়িয়াখানার হাত থেকে অ্যাকোয়ারিয়ামের জমি হিডকোকে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এর ফলে প্রশ্নের মুখে পড়েছে অ্যাকোয়ারিয়ামের মাছেদের ভবিষ্যৎও। রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, ‘‘চিড়িয়াখানার অ্যাকোয়ারিয়ামের জমি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ থেকে ফিরলেই বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।’’

ব্যারাকপুর থেকে ১৮৭৫ সালে আলিপুরে স্থানান্তর হয় চিড়িয়াখানা। তখন আলিপুর রোডের দু’পাশেই ছিল চিড়িয়াখানার জমি। টালি নালার পাশে চিড়িয়াখানার প্রাণীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের গাছপালার চাষ করা হত। পশুপ্রেমীদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিড়িয়াখানার ওই জমিতে প্রথম কোপ পড়ে সত্তরের দশকে। সেখানে একটি সংস্থাকে হোটেল করতে জমি দেওয়া হয়। ১৯৭৭ সালে হোটেলের পাশে চিড়িয়াখানার ১০ কাঠা জমিতে চালু হয়
অ্যাকোয়ারিয়াম। তার পাশেই রয়েছে সভাঘর, ফুলের নার্সারি। সব মিলিয়ে জমির পরিমাণ প্রায় পৌনে এক হেক্টর। সূত্রের দাবি, পুরোটাই হিডকোকে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর ফলে ওই অ্যাকোয়ারিয়ামে থাকা প্রায় ৫০ রকম প্রজাতির ৫৩০টি মাছ কোথায় যাবে, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় অ্যাকোয়ারিয়াম থাকলেও এত বড় নয়। তাই এই অ্যাকোয়ারিয়ামের আকর্ষণ কম নয়। বছরে কম-বেশি তিন লক্ষ দর্শক এখানে আসেন। ফলে অ্যাকোয়ারিয়াম সরে কোথায় যাবে, সেই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। সূত্রের দাবি, চিড়িয়াখানার ১৮.৮১ হেক্টর জায়গার মধ্যে তিন হেক্টর জলাশয়। বাকি স্থলভাগের মধ্যে ৭০ শতাংশ জায়গা জুড়ে রয়েছে পশু-পাখিদের এনক্লোজ়ার অর্থাৎ ঘেরাটোপ। বাকি জায়গা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে দর্শকদের ঘোরাঘুরির জন্য। ফলে চিড়িয়াখানার জমিতে অ্যাকোয়ারিয়াম সরিয়ে নিয়ে আসা এক প্রকার অনিশ্চিত বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তা হলে কি অ্যাকোয়ারিয়াম চিরতরে উঠে যাবে?

এখানেই প্রশ্ন উঠছে, দেশের বিভিন্ন চিড়িয়াখানার জমি যখন ক্রমশ বাড়ানো হচ্ছে, তখন কেন এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন এই চিড়িয়াখানা সম্প্রসারণের কথা না ভেবে সঙ্কোচন করা হচ্ছে? কেন বার বার চিড়িয়াখানার জমিতে কোপ পড়ছে? চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ মুখে কুলুপ এঁটেছেন। বনমন্ত্রী বলেন, ‘‘হিডকো যে নির্মাণ করবে, সেখানেই পরে অ্যাকোয়ারিয়াম করা হবে।’’ তত দিন মাছগুলিকে কোথায় রাখা হবে? মন্ত্রী জানান, তা এখনও ঠিক হয়নি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

HIDCO Aquarium

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}