হেমতাবাদে বিধায়কের মৃত্যুর প্রতিবাদ বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। বন্ধ পালিত হচ্ছে উত্তরবঙ্গের চার জেলায়।
হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর প্রতিবাদে ডাকা ১২ঘণ্টার বন্ধকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহার। সেখানে চারটি সরকারি বাস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। অন্য দিকে, দিনহাটা ও তুফানগঞ্জে এই বন্ধকে ঘিরে সংঘর্ষে জড়িয়েছে তৃণমূল-বিজেপি। যদিও এখনও পর্যন্ত বন্ধের মিশ্র প্রভাব রয়েছে।
বিধায়ক মৃত্যুর প্রতিবাদে বিজেপির রায়গঞ্জ টাউন মণ্ডল সভাপতি অভিজিৎ ভরদ্বাজ যোশী রাস্তায় নামলে তাঁকে গ্রেফতার করে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। যোশী বিধায়ক মৃত্যুর সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। রায়গঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসেছে। তদন্ত চলছে।
বিজেপি সূত্রে খবর, হেমতাবাদ যাবে বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল। বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায় এবং কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক থাকছেন সেই দলে। তাঁরা মৃত বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের বাড়ি গিয়ে তাঁর স্ত্রী ও পরিজনদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে দলীয় সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: হেমতাবাদের বিধায়কের মৃত্যুতে রহস্য, তদন্তে সিআইডি
বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় সোমবার। তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে ওই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তাঁর মৃত্যুর প্রতিবাদে মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের চার জেলায় বন্ধের ডাক দেয় বিজেপি। এ দিন সকাল থেকে বন্ধের সমর্থনে পথে নামেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। তবে এই বন্ধের প্রভাব এখনও পর্যন্ত মিশ্র। বন্ধের মোকাবিলা করা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রতিটি জেলাতেই এ দিন সকাল থেকে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
রায়গঞ্জ হেমতাবাদ কালিয়াগঞ্জ এলাকায় বেশ কিছু দোকানপাট বন্ধ। তবে সরকারি যানবাহন চলছে। তবে বালুরঘাট-সহ দক্ষিণ দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিজেপির ডাকা বন্ধে ভালই প্রভাব পড়েছে। রাস্তাঘাটে যানবাহন প্রায় নেই। বড় দোকানবাজার বন্ধ| ছোট ছোট সবজি বা মাছ বাজার অবশ্য বসেছে। বন্ধের সমর্থনে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বালুরঘাট শহরে মিছিল বেরোয়। আলিপুরদুয়ার শহরে বনধের প্রভাব মিশ্র। সকালেই বিজেপি মিছিল করে সেখানে। শহরে বেশ কিছু দোকানপাট খোলা। তবে আলিপুরদুয়ারে রাস্তাঘাট মোটের উপর ফাঁকা। গণপরিবহণ প্রায় নেই বললেই চলে।
কোচবিহারে নানা প্রান্তেই সকাল থেকে বন্ধ সফল করতে মিছিল শুরু করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। অধিকাংশ এলাকাতেই দোকানপাট সম্পূর্ণ বন্ধ| গোলমালের আশঙ্কাতেই অনেকে দোকানপাট খোলেননি। তবে জেলা সদর থেকে শুরু করে মহকুমা শহর পর্যন্ত সর্বত্র বিপুল বাহিনী মোতায়েন করেছে জেলা পুলিশ। কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেছেন, “গোটা জেলার মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে বন্ধে সাড়া দিয়েছেন। কিন্তু তৃণমূল এবং প্রশাসন হাত মিলিয়ে বন্ধ ব্যর্থ করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় আমাদের কর্মী-সমর্থকদের উপরে পুলিশ লাঠি চার্জ করছে। জোর করে রাস্তায় সরকারি বাস চালানোর চেষ্টা হচ্ছে। ঘুঘুমারিতে আমাদের কর্মীরা সে সব আটকে দেওয়ায় পুলিশ উন্মত্তের মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আমাদের বহু কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy