দুর্গাপুরে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রেণু খাতুন। নিজস্ব চিত্র।
নার্স হিসাবে সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা রেণু খাতুন। কিন্তু চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগেই তাঁর ডান হাত কব্জি থেকে কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রেণুর স্বামী শের মহম্মদ শেখের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে জোড়া সঙ্কটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রেণু। শারীরিক ভাবে এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন তিনি। দ্বিতীয়ত, তিনি যে সরকারি চাকরি পেয়েছেন তার কী হবে? এখন দুই প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়ে রেণু এবং তাঁর পরিবার।
রেণু নার্সিংয়ের প্রশিক্ষণ নিয়ে যোগ দিয়েছিলেন দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এর মাঝে সরকারি চাকরির পরীক্ষা দেন তিনি। উত্তীর্ণও হন। চাকরির প্যানেলে তাঁর নাম ওঠে। সম্প্রতি হাতে পেয়েছিলেন চাকরিতে যোগদানের চিঠিও। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কি তাঁর চাকরি করা সম্ভব? তার খোঁজ নিয়েছে আনন্দবাজার অনলাইন। বিষয়টি সংবাদমাধ্যম মারফত জানতে পেরেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিতে এসেছে। আমরা দেখছি কী হয়েছে।’’ গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সামনের সপ্তাহেই রেণুর চাকরিতে যোগ দেওয়া কথা ছিল বলে তাঁর পরিবারের দাবি। কিন্তু স্বামীর হামলার জেরে আচমকা বিপত্তির মুখে তিনি। এ নিয়ে হেল্থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সচিব নরেন্দ্রনাথ দত্ত বলছেন, ‘‘আক্রান্ত তরুণী আমাদের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে বা অন্য কোনও সাহায্য চাইলে আমরা পাশে দাঁড়াব। তবে তিনি চাকরি পেয়ে গিয়ে থাকলে বিষয়টি আমাদের এক্তিয়ারে থাকে না।’’
এক সময় দুর্গাপুরের যে হাসপাতালে তিনি কাজ করতেন সেখানেই আপাতত চিকিৎসাধীন রেণু। সরকারি চাকরি পাওয়ার পর শনিবার ওই বেসরকারি হাসপাতালের নার্সের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। একটা স্বপ্নপূরণের পর নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন রেণু। কিন্তু হঠাৎ এ ভাবে ধাক্কা খাবেন, ভাবতেই পারেননি তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy