কলকাতা হাইকোর্ট।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) মানা হবে না, গণমাধ্যমে এই ধরনের প্রচার আপাতত বন্ধ রাখার জন্য রাজ্য সরকারকে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করন নায়ার রাধাকৃষ্ণন ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে।
ওই আইন নিয়ে কয়েকটি মামলা হয়েছে ওই ডিভিশন বেঞ্চে। সিএএ মানা হবে না বলে রাজ্য সরকার জনগণের টাকা খরচ করে সংবাদপত্র-সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার করছে, এই অভিযোগেও মামলা হয়েছে। ২০ জানুয়ারির শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্তকে নির্দেশ দিয়েছিল, ওই প্রচারের জন্য সরকারি কোষাগার থেকে টাকা খরচ করা হয়েছে কি না, তা জানানো হোক।
এ দিন মামলার শুনানিতে এজি আদালতে জানান, প্রচার বন্ধ রাখা হয়েছে। মামলার আবেদনকারীর আইনজীবী নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য একটি বৈদ্যুতিন নথি পেশ করে অভিযোগ করেন, রাজ্য পুলিশের ওয়েবসাইটে এখনও সংশোধিত নাগরিক আইন না-মানার প্রচার বন্ধ হয়নি। এজি আদালতে জানান, রাজ্য সরকারের তরফে এই ধরনের প্রচারে আইনগত কোনও বাধা নেই। রাজ্য প্রচার করতেই পারে। তা শুনে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সরকার প্রচার করতে পারে কি না, তা নিয়ে আদালতে আইনি তর্ক হতে পারে। কিন্তু আপাতত ওই প্রচার বন্ধ রাখতে হবে রাজ্যকে। ওই আইনের প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন রেল স্টেশনে ভাঙচুর হয়েছে। নষ্ট করা হয়েছে রেলের সম্পত্তি। রেলের পক্ষে আইনজীবী পার্থ ঘোষ এ দিন আদালতে জানান, ৭২ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় রেলের আইনজীবীকে নির্দেশ দেন, ৯ জানুয়ারি, মামলার পরবর্তী শুনানির দিন হলফনামা পেশ করে সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির হিসেব দিতে হবে।
আরও পড়ুন: পড়ুুয়া বিক্ষোভে বিদায়, কিন্তু আজও যাদবপুর যাবেন, বললেন ধনখড়
জনস্বার্থ মামলাগুলির পরবর্তী শুনানি হবে ৯ জানুয়ারি। ওই আইনের প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যে-সব হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালানো হয়েছে, এজি-কে তার জেলা-ভিত্তিক রিপোর্টও পেশ করতে হবে ওই দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy