হাই কোর্ট সোমবারই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল লিগাল এড সার্ভিসের ভূমিকা নিয়ে। প্রতীকী ছবি।
যে সংস্থার নজরদারিতে ধর্ষিতার পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য পৌঁছনোর কথা, তারাই শুনানি পিছোনোর আবেদন করছে বারবার। সোমবারই এই বিষয়টিকে উল্লেখ করে রাজ্যের লিগাল সার্ভিসেস অথরিটিকে ভর্ৎসনা করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হাঁসখালিকাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল ৫ লক্ষ টাকা। মঙ্গলবার আদালতকে এ কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে তারা জানিয়েছে, সোমবারই ক্ষতিপূরণ হিসাবে ওই পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছে তারা।
গত ৪ এপ্রিল নদিয়ার হাঁসখালিতে অধুনা বহিষ্কৃত এক তৃণমূল নেতার ছেলের জন্মদিনের পার্টিতে নবম শ্রেণির এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পরের দিনই ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়। যা নিয়ে সে সময় রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়েছিল। পরে এই নিয়ে তিনটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়। যার মধ্যে দু’টি মামলার বিষয় ছিল নির্যাতিতার পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করার বিষয়ে। বস্তুত, এই ধরনের ঘটনায় অর্থসাহায্য পাওয়ার আলাদা প্রকল্পও রয়েছে। কিন্তু ঘটনাটির পর আট মাস পেরিয়ে গেলেও রবিবার পর্যন্ত পরিবারটি তাদের প্রাপ্য বা অতিরিক্ত কোনও আর্থিক সাহায্য পায়নি। সোমবার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই প্রসঙ্গ উঠলে তারা এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রধান বিচারপতি স্পষ্টতই লিগাল এড সার্ভিস অথোরিটির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘‘লিগাল এড নানা রকম টালবাহানা করছে। শুনানি পিছনোরও আবেদন করছে। এত গুরুত্বপূর্ণ মামলায় আপনাদের এই দায়সারা ভাব কেন?’’
এর পরই হাঁসখালির নির্যাতিতার পরিবারকে অর্থসাহায্য দেওয়ার ব্যাপারে কাজ কত দূর এগিয়েছে, তা মঙ্গলবারের মধ্যে আদালতকে জানানোর নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। যার জবাবে মঙ্গলবার লিগাল এড জানিয়েছে, তারা সোমবারই ওই অর্থ সাহায্য পৌঁছে দিয়েছে হাঁসখালির নির্যাতিতার পরিবারকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy