মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের সমস্ত উদ্বাস্তু কলোনির বাসিন্দাদের হাতে দ্রুত জমির মালিকানা তুলে দিতে প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু উদ্বাস্তু কলোনি নয়, শহর ও গ্রামে জমির মিউটেশনের কাজ যাতে দ্রুত হয়, তার জন্যও সংশ্লিষ্ট সকলকে সক্রিয় হতে বলেছেন তিনি।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং প্রস্তাবিত জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)-কে কেন্দ্র করে উদ্বাস্তু এলাকার বাসিন্দাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রচার করছে বিজেপি। তারই মোকাবিলায় মমতা ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত উদ্বাস্তু কলোনিকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। যার অর্থ— কলোনির বাসিন্দারা সবাই এ দেশের নাগরিক। কাকদ্বীপে সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠকে এই প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে রাজ্যে ৯৪টি উদ্বাস্তু কলোনিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলি শনাক্তকরণের কাজ অতি দ্রুত করতে হবে। কলোনির বাসিন্দাদের হাতে খুব তাড়াতাড়ি দলিলও তুলে দিতে হবে।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘জেলাশাসকরা অতি সক্রিয় হলেই সবচেয়ে ভাল কাজ হয়। তাই আমি তাঁদের অতি সক্রিয় হতে বলছি। শুধু মিউটেশন নয়, জাতি-শংসাপত্র দেওয়ার ব্যাপারেও সক্রিয়তার প্রয়োজন রয়েছে। অতি দ্রুত তা করতে হবে।’’ বৈঠকে মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ-সহ শীর্ষস্থানীয় আমলারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রশাসনিক বৈঠকে এ দিন বুলবুল বিপর্যস্ত এলাকায় ত্রাণ বিলি ও পুনর্গঠনের বিষয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে বিশদে রিপোর্ট নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় ৯০% ত্রাণ বিলি, পুনর্গঠন ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে বলে রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের কর্তারা মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেন। পাশাপাশি তাঁর কাছে থাকা রিপোর্ট প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে মিলিয়ে নেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘বুলবুল বিপর্যস্ত এলাকায় ক্ষতিপূরণের বিষয়ে রাজ্য সরকারই সমস্ত খরচ করেছে। কেন্দ্রীয় সাহায্য পাওয়া যায়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy