(বাঁ দিকে) বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্মান জানানোর কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিলেন সিপিএম নেতৃত্ব। গান স্যালুট দেওয়া হচ্ছে না বুদ্ধদেবকে।
সিপিএম নেতৃত্ব জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে বুদ্ধদেবের দেহ পিস ওয়ার্ল্ড থেকে বিধানসভা যাবে। সেখান থেকে যাবে আলিমুদ্দিনে। সেখানে দেহ তিন ঘণ্টা থাকবে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। এর পর দেহ নিয়ে মিছিল করে যাওয়া হবে যুব ফেডারেশনের দফতরে। তার পর সেখান থেকে দেহ নিয়ে এনআরএসে যাওয়া হবে। বিধানসভায় গান স্যালুট দেওয়ার কথা রাজ্য সরকারের তরফে বলা হলেও দস্তুর হল, গান স্যালুটের পর আর কোনও কর্মসূচি রাখা যায় না। এ ক্ষেত্রে বিধানসভা থেকে দেহ আলিমুদ্দিনে নিয়ে যাওয়া হবে। যাত্রা শেষ হবে এনআরএস হাসপাতালে। সেখানে তো কোনও ভাবে গান স্যালুট দেওয়া যায় না। সেই কারণেই সরকারের প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রবিন দেব শুক্রবার বলেন, ‘‘আমরা বিষয়টা জানিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী আমার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। আমাদের সঙ্গে বিধানসভার স্পিকারেরও কথা হয়েছে। আমরা বললাম, এ ক্ষেত্রে গান স্যালুট দেওয়া যায় না। কারণ, গান স্যালুট একেবারে শেষ পর্যায়। সেটার পর আর কিছু করা যায় না। আমরা এখন যাচ্ছি বিধানসভায়। এর পর আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। সেখানে তিন ঘণ্টা দেহ থাকবে। তার পর একটা মিছিল হবে। দীনেশ মজুমদার ভবনে, যেখানে যুব ফেডারেশনের অফিস, সেখানে যাবে দেহ। তার পর এনআরএসে দেহ দান করা হবে। আর এনআরএসে তো গান স্যালুট দেওয়ার কোনও নিয়ম নেই।’’
জ্যোতি বসু অবশ্য গান স্যালুট পেয়েছিলেন। ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে লাল পতাকায় ছেয়ে যাওয়া রেড রোডে জ্যোতিবাবুর মরদেহ জাতীয় পতাকায় আচ্ছাদিত করে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুট দেওয়া হয়েছিল। সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্য, জ্যোতিবাবুকে গান স্যালুট দেওয়ার পর সেখান থেকে মরদেহ সোজা এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গান স্যালুটের পর আর কোনও কর্মসূচি ছিল না। বুদ্ধদেবের ক্ষেত্রে তেমনটা হচ্ছে না বলেই গান স্যালুটে না বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy