Advertisement
E-Paper

পাহাড়ের শিক্ষা-সমস্যা নিয়ে মন্ত্রীর কাছে অনীত

সূত্রের খবর, ২০০২ সালে গোর্খা পাবর্ত্য পরিষদ থাকার সময় পাহাড়ের স্কুল সার্ভিস কমিশন ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।

Gorkha Territorial Administration chief Anit Thapa meets West Bengal Education Minister Bratya Basu

কথা: মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে অনীত থাপা। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:৫৬
Share
Save

দার্জিলিং পাহাড়ের শিক্ষা ক্ষেত্রের একাধিক সমস্যা, দাবিদাওয়া নিয়ে কলকাতায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠক করলেন ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (জিটিএ)-এর চিফ এগজ়িকিউটিভ অনীত থাপা। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ডেপুটি চেয়ারম্যান রাজেশ চৌহানকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করেছেন। অনীতদের দাবি, বৈঠকে পাহাড়ের স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নতুন করে সক্রিয় করা থেকে শুরু করে ঘুম কলেজের কর্মীদের দাবি এবং অনুমোদনের সমস্যা, প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়োগ-নীতি, একাধিক স্কুলের মান্যতার মতো দার্জিলিং পাহাড়ের শিক্ষার পরিকাঠামো নিয়ে কথা হয়েছে। জিটিএ কর্তৃপক্ষের দাবি, বিষয়গুলি দেখে ধাপে ধাপে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী৷ তবে শিক্ষামন্ত্রী রাতে বলেন, ‘‘সৌজন্য-সাক্ষাৎ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন নির্দেশ দেবেন, সে ভাবেই এগোনো হবে।’’

জিটিএ-প্রধান অনীত বলেছেন, ‘‘প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ শিক্ষার পরিকাঠামোতে জিটিএ জোর দিয়েছে। রাজ্যের সাহায্য নিয়ে জিটিএ এলাকার শিক্ষার অগ্রগতির কাজ করা হচ্ছে।’’ আর রাজেশ চৌহানের কথায়, ‘‘জিটিএ এলাকার শিক্ষা সম্পর্কিত যা-যা সমস্যা, দাবি মিলিয়ে পরিস্থিতি রয়েছে, সব নিয়ে কথা হয়েছে।’’

সূত্রের খবর, ২০০২ সালে গোর্খা পাবর্ত্য পরিষদ থাকার সময় পাহাড়ের স্কুল সার্ভিস কমিশন ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। গত দু’দশক ধরে গোটা দার্জিলিং, কালিম্পং পাহাড়ের সহকারী শিক্ষিক-শিক্ষিকা নিয়োগ, বদলি, প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকার দায়িত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়াগুলি আটকে রয়েছে। বহু স্কুল স্থায়ী প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাড়া চলছে। এ নিয়ে আদালতে একাধিক মামলাও রয়েছে। পাহাড়ের শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি ‘জিটিএ’-র হাতে না থাকায় রাজ্যের সাহায্য ছাড়া, কোনও কিছু তাদের পক্ষ করা সম্ভব নয়। ‘জিটিএ’ গঠনের পরে, রাজ্য সরকারকে বিষয়টি অনেক বার জানানো হয়েছে। এ দিনও শিক্ষামন্ত্রীকে সবই জানিয়েছেন অনীতেরা। তেমনই হিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ, পঠনপাঠন স্বাভাবিক ভাবে চালু যাতে থাকে, তা দেখার অনুরোধ করা হয়েছে।

জিটিএ সূত্রের দাবি, পাহাড়ের ১৪টি স্কুলকে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের মান্যতা নিয়ে বৈঠকে কথা হয়। গত ২০১৯ সালে শিক্ষা দফতর মান্যতা দেওয়ার কথা বললেও, তা বহু দিন হয়নি। এর সঙ্গে পাহাড়ের অধিকাংশ স্কুলে স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষক-শিক্ষিকারা বছরের পরে বছর ধরে পড়াচ্ছেন। সরকারি নিয়োগ না থাকায়, তাঁরাই স্কুলগুলি কার্যত চালাচ্ছেন। গত বছর বেশ কিছু স্কুলে আবার সরকারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাজে নেওয়া হয়েছে। এই স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পূর্ণ সময়ে নিয়োগের দাবিও পাহাড়ে রয়েছে। যা নিয়ে রাজ্য ও জিটিএ-র মধ্যে আলোচনা হলেও, তা এখনও কার্যকর হয়নি।

জিটিএ-র এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘পাহাড়ের শিক্ষার সমস্যাগুলি অনেক দিনের। পঞ্চায়েত ভোটের আগে, রাজ্য কিছু সুপারিশ বা অনুমোদন করলে তা পাহাড়ের জন্য ভালই হবে।’’

Anit Thapa Bratya Basu GTA TMC

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।