গণপ্রহার বিল নিয়ে বিধানসভার জবাব তলব করল রাজ ভবন।
গণপিটুনি রুখতে রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়েছে গণপ্রহার রোধ বিল-২০১৯। কিন্তু সেই বিল নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, বিধায়কদের মধ্যে যে বিলের কপি বিলি হয়েছিল এবং যে বিল পাশ হয়েছে, তার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। বিরোধীদের সেই অভিযোগের সূত্রেই এ বার তা নিয়ে বিধানসভার জবাব তলব করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বুধবার বিধানসভার সচিবকে জবাব তলব করে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে রাজভবন থেকে জানানো হয়েছে।
দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রিভেনশন অব লিঞ্চিং বিল ২০১৯ বা গণপ্রহার রোধ বিল রাজ্য বিধানসভায় পেশ হয় গত ২৬ অগস্ট। নিয়ম অনুযায়ী, বিল পেশের আগে বিধায়কদের মধ্যে তা বিলি করতে হয়। সেটা করাও হয়েছিল। আলোচনার পর সেই বিল পাশও হয়ে যায়। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, বিলি করা বিলের সঙ্গে বিধানসভায় পেশ এবং পাশ হওয়া বিলের মধ্যে অনেক গরমিল রয়েছে।
শুধু অভিযোগ তোলা নয়, রাজ্যপালের কাছেও এ নিয়ে নালিশ জানিয়ে আসেন বিরোধীরা। মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের আবদুল মান্নান এবং সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রাজভবনে গিয়ে এ নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসে। তার পরের দিনই বিধানসভার জবাব চেয়ে পাঠাল রাজভবন। রাজ্যপালের এই চিঠির পর সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমাদের যা জানানোর জানিয়ে এসেছি। এ বার যা দেখার তিনিই দেখবেন।’’
নিয়ম অনুযায়ী কোনও বিল বিধানসভায় পাশের পর তা রাজ্যপালকে পাঠাতে হয় অনুমোদনের জন্য। রাজ্যপালের সইয়ের পরেই সেই বিল আইনে পরিণত হয়। গণপ্রহার রোধ বিল রাজভবনে পাঠানো হলেও রাজ্যপাল এখনও তাতে সই করেননি। বরং বিরোধীদের অভিযোগের জবাব চেয়ে পাঠালেন তিনি। বিধানসভার সচিব কি জবাব দেন তার উপর অনেকটাই নির্ভর করছে এই বিলের ভবিষ্যৎ।
আরও পড়ুন: এনআরসির কথা তুললেনই না, সিবিআই রুখতেই যাওয়া? মমতার অস্বস্তি বাড়িয়ে একযোগে প্রশ্ন বিরোধীদের
আরও পড়ুন: অনুরোধ প্রত্যাখ্যান পাকিস্তানের, মোদীর মার্কিন সফরে ব্যবহার করা যাবে না পাক আকাশসীমা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy