রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গের চলতি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালবীয়কে রাজভবনে ডেকে পাঠালেন। আজ, বুধবার বিকেল ৪টের মধ্যে ওই দুই প্রশাসনিক কর্তাকে যেতে বলা হয়েছে।
একাধিক নাবালিকার ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে সাম্প্রতিক রাজ্য-রাজনীতি সরগরম। সোমবার বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নদিয়ায় এক কিশোরীকে গণধর্ষণ ও খুন নিয়ে যথাযথ তদন্তের আশ্বাসও দিলেও ঘটনার ভয়াবহতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিস্তর। ঘটনাটিকে লজ্জাজনক আখ্যা দিয়ে রাজ্যপাল এ দিন মন্তব্য করেছেন, কর্তৃত্ব এবং সাংবিধানিক পদে থাকা কোনও ব্যক্তির এমন কোনও মন্তব্য করা উচিত নয়, যা স্বাধীন তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারে। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের ধারণা, রাজ্যপাল হয়তো মুখ্যমন্ত্রীকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন। কারণ, সোমবার নদিয়ার ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, মুখ্যসচিব এবং ডিজি-র কাছে ওই ঘটনার তথ্য জানতে চাইতে পারেন রাজ্যপাল। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সাম্প্রতিক সমস্যাগুলির প্রসঙ্গও উঠতে পারে বৈঠকে।
রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “চরম নৈরাজ্য শুরু হয়েছে। দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে গিয়েছে। মানুষ আর টুইট দেখতে চাইছে না। মতামত দেখতে চাইছে না। কিছু করুন। মানুষ রাজ্যপালের দিকে তাকিয়ে। মানুষ চাইছেন, তিনি কিছু করুন।’’ শমীকবাবুর এই বক্তব্যের পরেই কলকাতার বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপির এক দল কর্মী-সমর্থক রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারির দাবিতে রাজভবনের গেটে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের গ্রেফতার করে সেখা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
শমীকবাবুর বক্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “এটা মানসিক হতাশার বহিঃপ্রকাশ। ওঁদের দলের অফিস রাজভবন। রাজ্যপালের কাছে যাতায়াত, পরামর্শ— নানা বিষয় আছে। দলের অভ্যন্তরীণ কর্মীর মান-অভিমানের বিষয় চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy