শোভাযাত্রার মঞ্চে নাতির সঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। নিজস্ব চিত্র।
রেড রোডে বিসর্জনের বর্ণিল শোভাযাত্রায় এ বার অংশ নিল ৭১টি দুর্গাপুজো কমিটি। কলকাতা ও সংলগ্ন শহরতলির পুজোগুলিকে একসঙ্গে দেখার এই কার্নিভালে এ বার অংশ নেওয়া পুজো কমিটির সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনই শোভাযাত্রা দেখতে আসা দর্শনার্থীর ভিড়ও ছিল নজরকাড়া। শুক্রবার চতুর্থ বর্ষের এই বিশেষ শোভাযাত্রায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো ছিলেনই, ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও।
মুখ্যমন্ত্রীর পাশের একটি মঞ্চে স্ত্রী, কন্যা, নাতি, বেয়াই, বেয়ানকে নিয়ে ঠায় চার ঘণ্টা বসে রাজ্যপাল এই শোভাযাত্রা দেখলেন। রাজ্য সরকারের বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মানে ভূষিত একের পর এক দুর্গাপ্রতিমা ও মণ্ডপ, আলোয় সাজানো ট্যাবলো দেখার পরে অনুষ্ঠান শেষে মুগ্ধ রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে বললেন, ‘‘চমৎকার! কী ভাবে এই গোটা ব্যাপারটা সামলান? (অ্যামেজিং! হাউ ডু ইউ ম্যানেজ ইট?) দু’মাস আগে রাজ্যপালের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে টানাপড়েন চলছে রাজ্যপালের।
এক খুদেকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র
বৃহস্পতিবারও জিয়াগঞ্জের তিন জন খুনের ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল ধনখড়। এই আবহের মধ্যেও বিসর্জন শোভাযাত্রা দেখার পরে রাজ্যপালের ‘মুগ্ধতা’ তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক শিবিরের অনেকের অভিমত।
গত তিন বারের মতোই রেড রোডের দু’ধারে আমন্ত্রিত অতিথি, অভিনেতা, শিল্পীদের পাশাপাশি অগণিত মানুষের ভিড় দেখে আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রীও। শোভাযাত্রা শেষে ঘনিষ্ঠ মহলে মমতা বলেন, ‘‘এই শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে এ বারের দুর্গোৎসব শেষ হল। আজ হয়ে গেল আরও একটি পুজোর সমারোহ।’’ রাজ্যের মন্ত্রীদের পাশাপাশি এ বারই প্রথম মমতার মঞ্চে দেখা গিয়েছে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানকে। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে অবশ্য তিনি বেরিয়ে যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy