Advertisement
E-Paper

Chancellor: ‘আচার্য’ এখন মুখ্যমন্ত্রী, তবু আচার্য হয়ে রবীন্দ্র ভারতীর উপাচার্য নিয়োগ রাজ্যপালের

সার্চ কমিটির সুপারিশে প্রথম যাঁর নাম ছিল, তাঁকেই রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে বেছে নেন আচার্য।

উপাচার্য নিয়োগ করলেন ধনখড়।

উপাচার্য নিয়োগ করলেন ধনখড়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২২ ১৬:৫৫
Share
Save

রাজ্যের সরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়েরই আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মর্মে একটি বিল সম্প্রতি বিধানসভায় পাশ হয়েছে। তবে এখনও ওই বিলে রাজ্যপালের স্বাক্ষর হয়নি। ফলে নিয়ম অনুয়াযী বিলটি এখনও আইনে রূপান্তরিত হয়নি। সেই আবহেই বৃহস্পতিবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য নিয়োগের কথা ঘোষণা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। যিনি ‘পদাধিকার বলে’ এখনও ওই বিশ্ববিদ্যালয়-সহ রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য।

নিজের ওই নতুন নিয়োগের কথা রাজ্যপাল ধনখড় নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন। কোন ধারা মেনে ওই নিয়োগ হয়েছে, টুইটে তারও উল্লেখ করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি টুইটে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘আচার্য হিসেবে জগদীপ ধনখড় রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্য বিভাগের অধ্যাপিকা মহুয়া মুখোপাধ্যায়কে উপাচার্য পদে বসালেন। ১৯৮১ সালের রবীন্দ্রভারতী আইনের (১)(বি) ধারা মেনে।’

টুইটে ধনখড় আরও জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ৯ জুন একটি বৈঠকে বসেছিল রবীন্দ্রভারতীর সার্চ কমিটি। সেখানেই উপাচার্য পদে নিয়োগের জন্য তিনটি নাম প্রস্তাব করা হয়। সেই তিনটি নাম হল— রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্য বিভাগের অধ্যাপিকা মহুয়া, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক স়ঞ্জীবকুমার দত্ত এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্যপালের টুইটে এ-ও লেখা হয়েছে যে, এর পরেই শিক্ষা দফতরের তরফে আচার্যকে গত ২৪ জুন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বেছে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়। সার্চ কমিটির সুপারিশে প্রথম যাঁর নাম ছিল, তাঁকেই রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে বেছে নিয়েছেন আচার্য।

প্রসঙ্গত, পরিষদীয় এবং সংসদীয় রীতি অনুযায়ী কোনও বিল আইনসভায় পাশ হয়ে গেলেও সেটি আইনে পরিণত করতে রাজ্যের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির সই প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্যের পদ দেওয়ার বিলটিও রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে। তার পর সেটি রাজ্যপালের সাক্ষরের জন্য পাঠানো হয়েছে রাজ ভবনে। রাজ্যপাল তাতে সই করবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল। দেখা গেল, রাজ্যপাল ওই বিলে সই করেননি। বরং তিনিই আচার্য হিসেবে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন।

সংবিধান বিশেষজ্ঞদের অবশ্য বক্তব্য, রাজ্যের স্তরে রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় স্তরে রাষ্ট্রপতি আইনসভায় পাশ-হওয়া বিলে সই না-করলে সংশ্লিষ্ট সরকার আইনসভায় অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) এনে সংশ্লিষ্ট বিলটিকে আইনে পরিণত করতে পারে। বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর এই আচার্য বিলের ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তেমন কোনও পদক্ষেপ করে কি না, তার দিকে কৌতূহলি হয়ে তাকিয়ে থাকবে রাজ্যের রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক মহল।

Governnor Jagdeep dhakhar Mamat Banerjee

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।