টুইটে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তলব রাজ্যপালের।
ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে ফের রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তলব করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সোমবার নতুন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে তলব করেছেন তিনি। ঠিক এক মাসে আগে রাজ্যে নির্বাচন শেষ হওয়ার ঠিক অব্যবহিত পরেই অধুনা-প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকেছিলেন ধনখড়়।
Extremely alarming law & order scenario @MamataOfficial. Security environment is seriously compromised.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 6, 2021
In such a grim situation called upon Chief Secretary to brief me on the law and order situation on Monday 7th June and indicate all steps taken to contain post poll violence. pic.twitter.com/REf0JDTpcQ
There is rampant post poll retributive violence @MamataOfficial
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 6, 2021
Disturbing that this ostracisation has graduated to social boycott & denial of benefits they are otherwise entitled. They are made to suffer “extortion fee” for living in their own house or run their own business.
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে টুইটারে একটি বিবৃতিও জারি করেছেন রাজ্যপাল। লিখেছেন, ‘প্রত্যেক দিনই অরাজক পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে রাজ্য। সর্বত্রই প্রতিহিংসার ঘটনা দেখা যাচ্ছে। ভোট-পরবর্তী হিংসা রাজ্যে যে জায়গায় পৌঁছেছে, তা অকল্পনীয়। লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে। চারিদিকে লুঠ চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। ক্ষমতাসীনদের ভোট না দেওয়ার মাশুল গুণতে বহু মানুষকে’।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিবৃতিতে গত ১৭ মে-র ঘটনারও উল্লেখ করেছেন রাজ্যপাল। নারদ মামলায় রাজ্যের চার নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতার নিয়ে সিবিআইয়ের দফতরের বাইরে যা ঘটেছিল, তার প্রসঙ্গ টেনেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর ধরনার বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন।
Most unfortunate that state functionaries @MamataOfficial are not even recognising this malaise much less take steps to contain it.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 6, 2021
Police @WBPolice @KolkataPolice unfortunately engaged as extension of ruling dispensation to let loose vindictiveness on political opponents.
ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে শুরু থেকেই সরব রাজ্যপাল। রাজ্যের যে সব এলাকায় হিংসার ঘটনা বেশি ঘটেছে, সেখানে গত মাসে সফরেও গিয়েছিলেন তিনি। টুইটারে ধনখড় লেখেন, ‘বিরোধীদের সামাজিক ভাবে বয়কট করে দেওয়া হচ্ছে। সুযোগ-সুবিধা থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। নিজের বাড়িতে ফেরার জন্য তাঁদের টাকা দিতে হচ্ছে’। শুধু তাই নয়, হিংসার ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনেরও মদত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য প্রশাসন বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না বলেই পদক্ষেপের অভাব দেখা যাচ্ছে। আর সেই কারণেই ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে এখনও পর্যন্ত রাজ্য প্রশাসন কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা জানতেই মুখ্যসচিবকে তলব করেছেন তিনি।
মুখ্যসচিবকে তলব করে রাজ্যপালের টুইট প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘রাজ্যে টিকার অভাব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তো দরবার করতে দেখা যায় না রাজ্যপালকে। ভোটের পর বিজেপি যে ভাবে কুৎসা চালাচ্ছে, তারই একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিচ্ছেন রাজ্যপাল। উনি রাজনীতি করছেন।’’ টুইটে রাজ্যপালকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি তখনই বদলাবে যখন আপনি দিল্লি গিয়ে অন্য কাজ খুঁজবেন’। ধনখড়কে দু’টি পরামর্শও দিয়েছেন মহুয়া। লেখেন, ‘এক, বিরোধীদের কী ভাবে আঘাত করতে হয়, সে বিষয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা হতে পারেন। দুই, অতিমারির সময়ে কী ভাবে লুকিয়ে থাকতে হয়, সেই বিষয়েও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টা হতে পারেন আপনি’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy