শাহজাহান শেখ (বাঁ দিকে) এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সোমবারই জানিয়েছিলেন, সন্দেশখালির ‘নিখোঁজ’ ত়ৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের গ্রেফতারিতে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি আদালত। তাই রাজ্যের পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবে। সোমবার রাতেই শাহজাহানের দ্রুত গ্রেফতারি চেয়ে রাজ্যকে চিঠি লিখলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই চিঠির বিষয়ে কিছু জানা না গেলেও, এক সরকারি আধিকারিককে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
চিঠিতে রাজ্যপাল রাজ্যের উদ্দেশে লিখেছেন, যদি প্রশাসন শাহজাহানকে ধরতে ব্যর্থ হয়, তবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাজভবনে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। তা ছাড়াও সন্দেশখালিতে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে এক শিশুকে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছিল, তার প্রেক্ষিতে রাজ্যকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। তদন্তের রিপোর্ট রাজভবনে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন, শাহজাহানের গ্রেফতারির ক্ষেত্রে ‘অন্তরায়’ আদালত। কোর্টই পুলিশের হাত-পা বেঁধে দিয়েছে। তার পরে রবিবার মহেশতলায় গিয়েও সেই কথাই বলেছিলেন অভিষেক। অতঃপর সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘‘স্পষ্ট ভাবে বলছি, পুলিশকে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ইডির মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। আমরা পুলিশকে বলিনি যে, গ্রেফতার করা যাবে না।’’
হাই কোর্টের শেখ শাহজাহান সংক্রান্ত নির্দেশ এবং প্রধান বিচারপতির মন্তব্যের পরে শাসক তৃণমূল সোমবার আবার দাবি করে, আদালতের কারণেই শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারেনি রাজ্য পুলিশ। ‘জট’ কেটেছে। সাত দিনের মধ্যে শাহাজাহান গ্রেফতার হবেন। তার পরে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘‘আদালতের আইনি জটেই বিষয়টি আটকে ছিল। তার সুযোগে রাজনীতি করছিল বিরোধীরা। আজ হাই কোর্ট সেই জট খুলে পুলিশকে পদক্ষেপে অনুমোদন দেওয়ায় ধন্যবাদ। সাত দিনের মধ্যে শাহজাহান গ্রেফতার হবেন।’’
অন্য দিকে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালিতে শিশুর উপর অত্যাচারের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছিল। এক শিশুকে তার মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সন্দেশখালির বাসিন্দা ভুজঙ্গ দাসের স্ত্রী সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেছিলেন, ‘‘মুখে কালো কাপড় বেঁধে পুলিশ এসেছিল। বাইরে থেকে আমার স্বামীকে ডাকছিল। দরজা না খোলায় গালাগালি করে। সন্দেশখালি থানার এক জন ছিল। ওরা আমার কোল থেকে বাচ্চা ফেলে দিয়েছিল। আমার চুলের মুঠি ধরে টানে। এমনকি পুরুষ পুলিশ নাইটি টেনেছিল।’’ অভিযোগ ওঠার পরেই অভিযোগকারিণীর বাড়িতে যান রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা। শিশুটির চিকিৎসার বন্দোবস্তও করা হয়েছে বলে জানান তাঁরা। এ বার এই ঘটনায় রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল রাজভবন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy