তিন সন্তান হারানো মাকে সান্ত্বনা রাজ্যপালের। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা।
করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ছড়ানেখালি গ্রামের তিন ভাই। মঙ্গলবার বাসন্তীর এই গ্রামে গিয়ে ওই পরিবারটির সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পড়শি আরও দুই মৃতের পরিবারকেও সান্ত্বনা দেন তিনি। পাঁচ জনের পরিজনদেরই ৫০ হাজার টাকা করে এককালীন অনুদান দেন তিনি। একই সঙ্গে জানান, এই এলাকা থেকে ভিন্ রাজ্যে কাজে যাওয়া প্রতিটি পরিবারকে জনধন অ্যাকাউন্ট মারফত ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। বাসন্তীর বিডিওকে সেই তালিকা তৈরির নির্দেশ দেন তিনি।
করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তিন ভাই হারান গায়েন, নিশিকান্ত গায়েন ও দিবাকর গায়েন। তাঁদের শোকার্ত মাকে সান্ত্বনা দেন রাজ্যপাল। কথা বলেন তিন জনের স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গেও। সঞ্জয় হালদার ও বিকাশ হালদার নামে এই গ্রামের আরও দুই বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে রেল দুর্ঘটনায়। ওই দুই পরিবারের সদস্যেরাও রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছেন। এই পাঁচটি পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন রাজ্যপাল। আগামী ছ’মাস এই পাঁচ পরিবারকে আরও দু’হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলেও জানান। পাঁচ জনের পারলৌকিক ক্রিয়াকর্মের খরচ বহন করার কথা বলেছেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপাল বলেন, “এক জন অভিভাবক হিসেবেই এসেছি। বৃদ্ধ মা এক দিনে তিন সন্তানকে হারিয়েছেন। আমি ওঁদের পাশে আছি।” প্রশ্ন ওঠে, এলাকায় কাজ না থাকার ফলেই কি বহু মানুষ ভিন্ রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন? রাজ্যপাল বলেন, ‘‘সমস্যা রয়েছে। কী ভাবে সমাধান করা যায়, সেটা দেখা হবে।’’ এই গ্রামে আবার এসে তিনি মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান। বলেন, ‘‘এখানে কোনও প্রকল্প করে সমস্যার সমাধান করা যায় কি না, তা দেখব।”
রাজ্যপালকে সামনে পেয়ে কয়েক জন পানীয় জল, বিদ্যুতের সমস্যার কথা জানান। রাজ্যপাল বিডিওকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। যদিও স্থানীয় বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল দাবি করেন, এমন কোনও সমস্যা নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy