Advertisement
E-Paper

‘আজ কোনও অভিযোগ জানাতে আসিনি’, রাজভবন থেকে বেরিয়ে বললেন শুভেন্দু

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ডাকে রাজভবনে গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার সকালেই সাংবাদিক বৈঠক শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, রাজ্যপালের কাছে সাক্ষাতের সময় চেয়েছেন তিনি।

শুভেন্দুকে (বাঁ দিকে) ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল (ডান দিকে)

শুভেন্দুকে (বাঁ দিকে) ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল (ডান দিকে) — ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২২ ১২:৪৫
Share
Save

রাজভবনে কোনও অভিযোগ জানাতে আসেননি তিনি। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বেরিয়ে জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আরও জানালেন, বুধবারের সাক্ষাৎ ছিল নেহাতই সৌজন্যমূলক। ক্ষোভ জানিয়ে নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু। তার পরেই তাঁকে রাজভবনে ডেকে পাঠান নতুন রাজ্যপাল । দুপুর পৌনে ১টায় দু’জনের সাক্ষাৎ হয়।

সাক্ষাতের পর রাজভবনে থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আজ কোনও অভিযোগ জানাতে আসিনি।’’ এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের দিকে আঙুল তোলেন শুভেন্দু। অভিযোগ করেন, ‘‘অরাজকতায় প্রশ্রয় দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।’’

শুভেন্দু বুধবার সকালেই সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে জানান, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া জনপ্রতিনিধিদের পাশে বসার জায়গা দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। তাই তিনি অনুপস্থিত ছিলেন রাজ্যের নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। এই সূত্র ধরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠকও করেন তিনি। আসন-বিতর্ক নিয়ে বিরোধী দলনেতার আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও।

প্রথামাফিক রাজভবনে রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করে থাকেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাজ্যের নতুন রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথাও জানিয়েছিলেন শুভেন্দু। তার পরেও যাননি।

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরুর আগে সমাজমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে শুভেন্দু রীতিমতো অভিযোগ করেন। জানান, রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে জায়গা দেওয়া হয়েছে তৃণমূল সাংসদদের পিছনে। ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের বসার আয়োজন বলে দাবি করে একটি ছবিও টুইট করেন তিনি। শুভেন্দুর ব্যাখ্যা, তৃণমূল সাংসদ তথা রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মালা রায়ের বসার জায়গার পিছনে তাঁর চেয়ার রাখা হয়েছিল। তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর পাশে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যাওয়া বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এবং রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণকল্যাণীর চেয়ার ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর ‘খামখেয়ালিপনা’র জেরেই এমন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু।

এর পর ফেসবুকেও দীর্ঘ পোস্ট দেন শুভেন্দু। সেখানেও নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। লেখেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ’ করার জন্যই তাঁকে অপমান করা হয়েছে। পরে সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু জানান, তিনি সাক্ষাতের জন্য রাজ্যপালের কাছে সময় চেয়ে নিয়েছেন। তার পরেই দুপুরে রাজভবনে শুভেন্দুকে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল। সেখানে মিনিট দশেক কথা হয় দু’জনের।

Suvendu Adhikari Governor CV Ananda Bose

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}